মোঃ আলীমুজ্জামান : বাবা তার ৬ বছরের ছেলেকে নিয়ে নদীতে গোসল করতে গেলেন। নদীতে নামার পর ছেলে বাবার কাছে জানতে চাইলেন পানির গভীরতা কত। বাবা সহজে বলে দিলেন ৩ হাত মত হতে পারে। ছেলে হিসাব করে দেখলো সে তার হাতের সাড়ে ৩ হাত লম্বা সুতরাং সে ডুবে যাবে না তাই সাথে সাথে লাফ দিয়ে নদীতে হাবুডুবু খেতে থাকল। বাবা কোনমত ছেলেকে তুলে বললেন কেন বোকার মত কাজটা করলা? ছেলে উত্তরে বলল, বাবা আমি মনে করেছিলাম আমার হাতের ৩ হাত পানি আছে। বাবা বললেন আরে বোকা সেটা তো আমার হাতের ৩ হাত। সারকথা হল উপরের হেডিং ব্যবহার কারার সাহস দেখানো। অনেকটা সেই প্রবাদ এর মত ” হাতি ঘোড়া গেল তল, পিপড়া জিগায় কত জল?” রাষ্ট্র অনেক বড় বিষয় আর বাজেট যারা করেন উনারা সবাই অনেক বড় মাপের মানুষ। তাঁদের প্রতি সম্মান রেখে, নিজের মাথায় ঘুরপাক খাওয়া কথাগুলি লিখছি। আমি স্বপ্ন বিলাসী মানুষ, স্বপ্ন দেখি আমার দেশ ধনী রাষ্ট্র হবে এবং সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার দক্ষতা, সততা ও জনগনের প্রতি ভালবাসার কারণে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাধ সাধল করোনা, সেটা সারাবিশ্বে মহামারী হলেও জনগনের ভাল চাওয়া রাষ্ট্র প্রধানের ঐকান্তিক চেষ্টায় আল্লাহ রহমত করেছেন আমাদের দেশে সুস্থতার হার অনেক বেশী। উনার মত আমিও বিশ্বাস করি সকল প্রকৃতিক দূর্যোগ এর মত এটা ও আমরা মোকাবেলা করে সারা বিশ্বকে এক নতুন বাংলাদেশ দেখাতে সক্ষম হব।
একটা মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে, সে দেশের বেশীর ভাগ মানুষের মধ্যম শ্রেনীর আয় থাকতে হবে। বিগত চার/পাচ বছর আমাদের দেশে সে ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প সহ সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে তাল মিলিয়ে তৈরী হয়েছিল বিভিন্ন দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান। সেখানে তৈরী হয়েছিল বিশাল কর্মসংস্থান। দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানী, উৎপাদন ও বিপনন এর ফলে বৃদ্ধি পেয়েছিল রাজস্বের পরিমান। সকল স্তরে আয় বৃদ্ধি ও জীবন যাত্রার মান উন্নত হওয়ার কারণে দেশে গড়ে উঠেছিল বিশাল বিশাল সপিং মল। সেখানে বিনিয়োগ করে আয় বৃদ্ধি করেছিল এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীগণ। সেগুলি ভাড়া নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করছিলেন পন্যের সাথে সম্পর্ক যুক্ত ব্যবসায়ীরা। বাংলদেশের সকল কিছু রাজধানী কেন্দ্রীক হওয়্য়া বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এক বিশাল জনগোষ্টির বসবাস ও অফিস চালানোর জন্য তৈরী হয়েছিল বিশাল বিশাল ভবন। যা ভাড়া প্রদানের টাকা ছিল ভবন মালিকদের মূল আয়। এ ভাবে তৈরী হয়েছিল অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিক চেইন সিষ্টেম এবং সেটা সঠিক ভাবে পরিচালিত করে দেশকে মধ্যম আয়ের ভিষন – ২০২১ বাস্তবায়নের দিকে।”সাজানো হলো না কিছু, জীবন তাসের ঘড়, কোথা হতে এল এক করোনার ঝড়”।
আমার বাজেট পরিকল্পনায় করোনা কালীন আয়কর ব্যবস্থাকে গুরুত্ব সহ নিয়ে, করদাতার হয়রানী মুক্ত রাখতে আইনের প্রয়োগ, আয়কর বিবরণী দাখিল কারীর সংখ্যা বৃদ্ধির গাইড লাইন ও কালো টাকা সাদা করার শ্রেণীকরনসহ কর আইনের সহনশীল প্রয়োগের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। চলতি অর্থবছরের তিন মাস বন্ধ ও আগামী অর্থবছরে তিন মাস সীমিত আকারে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের চেইন সচল থাকাবে সেটা বিবেচনায় নিয়ে নিন্মরুপ ভাবে কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হল।
চলতি অর্থবছরের শেষ তিন মাস অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সকল আয়ের চেইন করোনার কারণে সচল রাখা যায় নাই তাই ব্যক্তি ও ব্যবসায় পর্যায়ে বিগত বৎসরের তুলনায় ২৫% কম আয় কোন করদাতা প্রর্দশন করে আয়কর বিবরণী দাখিল করেন এবং এর সমর্থনে সকল দলিলাদি থাকে তবে ডিসিটি কোন আপত্তি ছাড়া মেনে নেওয়ার বিধান রাখা হবে। আগামী অর্থ বছরে প্রথম তিন মাস কাঁচামাল আমদানী সহ সকল স্তরে বর্তমান হারের অর্ধেক হারে অগ্রীম আয়কর আদায় এর বিধান রাখা হবে। করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে পরবর্তী তিন মাস প্রযোজ্য হারে ও এর পরের ৬ মাসে প্রথম তিন মাসে যে পরিমান কম অগ্রীম আয়কর আদায় করা হয়েছিল সেটা সমন্বয় করা হবে অর্থাৎ প্রথম তিন মাসের কম আদায় করা হয়েছিল সেটা প্রযোজ্য হার হতে বেশী আদায় করা হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেনী হল মধ্যম আয়ের চাকুরি জীবি ও ব্যবসায়ীগণ। তাদের কর দায় কমানোর জন্য শুধূমাত্র চলতি ও আগামী অর্থ বছরের জন্য করযোগ্য আয়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা করে কর প্রদানের হারের স্লাব গুলির প্রথম ধাপ ৩ লক্ষ টাকার উপর ৫%, পরবর্তী ৪ লক্ষ টাকার উপর ১০%, এর পরের ৫ লক্ষ টাকার উপর ১৫%, তারপরের ৬ লক্ষ টাকার উপর ২০%, পরবর্তী ২০ লক্ষ টাকার উপর ২৫% এবং পরবর্তী সকল আয়ের উপর ৩০% হারেকর প্রদানের বিধান রাখা হবে। বিনিয়োগের রেয়াত ও সম্পদের উপর সারচার্জ পূর্বের ন্যায় বহাল রাখা হবে।
করহারের স্লাব ব্যবস্থাপনার ফলে পূর্বের লেখার ২২ লক্ষ টাকা আয়ের বেসরকারী চাকরী জীবির মোট কর দায় ৫৫ হাজার টাকা কম হত যা পরবর্তীতে ৩০% হারের স্লাবে আদায় করা যাবে বলে মোট কর আদায়ের উপর কোন প্রভাব পরবে না। ৩০% করহারের স্লাব বিগত বছর গুলিতে ছিল সেটা প্রস্তাবিত অর্থবছরে বহাল রেখে মোট কর আয়ের সীমা ও ৫% হারে একটা স্লাব বৃদ্ধি করে মধ্যম শ্রেনীর করদাতার জন্য জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর উপহার হিসাবে ঘোষনা প্রদান করা হবে। একক মালিকানা ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা সঠিক হিসাব ব্যবস্থাপনার দ্বারা ব্যবসায়ের বার্ষিক আয় প্রর্দশন করবে তাদের বেসরকারী চাকুরিজীবিদের আয়কর রেয়াতের সুবিধা ৪.৫০ লক্ষ টাকা ব্যক্তি কর ব্যবস্থাপনার সকল স্তরে প্রদানের বিধান রাখা হবে। একক মালিকানার ব্যবসায়ীর ১০ কোটি টাকার উপরে টার্ণওভার হলে সেক্ষেত্রে সিএ ফার্ম এর অডিট বাধ্যতামূলক করা হবে। আয়কর আ্ইনে বলা কোন প্রতিষ্ঠান আইএএস ও বিএএস মেনে হিসাব রক্ষন করে এবং সেটা সিএ ফার্ম দ্বারা সঠিক নিয়মে অডিট করানো হয় এবং উৎসে কর কর্তন করা হয় তাহলে ডিসিটি কোন ভাবে উক্ত হিসাবে কোন জায়গায় আইএএস ও বিএএস প্রতিপালন না করার বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা ছাড়া উক্ত হিসাবের কোন অংশ বা অংশ বিশেষ অনুমোদন যোগ্য নয় বিধায় মোট আয়ের সাথে যোগ করা হলো। ডিসিটিগন সেটা করতে না পারার বিধান রেখে সকল প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাকে হয়রানী মুক্ত রাখার নিশ্চয়তার দ্বারা কর প্রদানে উৎসাহিত করা হবে।
করোনা কালীন সময়ে সরকারী ও বেসরকারী সকল আয়ের চেইন সঠিক ভাবে চালানো সম্ভব হয় নাই তাই সঠিক নিয়ম মেনে মধ্যম শ্রেনীর ব্যবসায়ী অর্থাৎ বিভিন্ন প্রচার পাইকারী ব্যবসায়ী, সপিং মলের দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনাকারী ও এর সাথে জড়িত দোকান ও অফিস স্পেস ভাড়া প্রদানকারী মালিকগনের সঠিক ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে একটা প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষনা ও সেটার সঠিক বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করে তাদের ব্যবসা পরিচলনা করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার বরাদ্ধ রাখা হবে। একটি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখে এই পাইকারী ও মধ্যম শ্রেনীর ব্যবসায়ীগন। উল্লেখিত হারে সকল স্তরের ব্যক্তি ও ব্যবসায় পর্যায়ে যে করদায় তৈরী হবে সেটা যদি কেউ এ বছরে প্রদান করতে না পারেন তবে কোন প্রকার সুদ আরোপ করা ছাড়া আগামী দুই অর্থবছরে প্রদানের সুবিধা প্রদানের কথা বাজেটে বলা থাকবে। সকল অবস্থায় ব্যক্তি ও ব্যবসা সচল রাখার স্বার্থে আইনের ব্যবহার সহনশীল রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে। মধ্যম স্তরের সকল করদাতাকে সুরক্ষিত রেখে করোনা পরবর্তী সময়ে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পূর্বের ন্যায় সচল করার প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ বাজেটে রাখা হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের প্রদত্ত করের দ্বারা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে রুপ-কল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা থাকবে।
বাজেট পরিকল্পনায় সকল পর্যায়ের কালো টাকা সাদা করার বিধান এক ভাবে থাকবে না। কালো টাকা হওয়ার প্রক্রিয়া বিবেচনায় নিয়ে সেটাকে ৩ শ্রেনীতে ভাগ করা হবে। এক- বিভিন্ন ভাবে উৎসে অগ্রীম আয়কর আদায় করা হয়েছে কিন্ত সঠিক দলিলাদি দ্বারা আয়কর বিবরণী দাখিল না করার কারণে তাদের বিগত ৫ বছরের সঠিক দলিলাদির দ্বারা এবং উৎসে কর্তনকৃত অগ্রীম কর প্রদান সহ সঠিক আয় প্রর্দশন করে প্রদত্ত অগ্রীম আয়কর সমন্বয় পূর্বক আয়কর বিবরণী দাখিল করতে পারবেন তবে প্রতি বছর ২% হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে। দুই- কোন প্রতিষ্ঠানের বিগত ৫ বছরের প্রকৃত আয় কম দেখানোর কারনে কম প্রর্দশিত আয়। যদি সেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যদি তার ব্যবসায় সম্প্রসারন করে উক্ত টাকার অনুপাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন তবে সে টাকার উপর ১০% আয়কর প্রদান করে বিগত বছর গুলির কম প্রর্দশিত আয় প্রদর্শন করতে পারবেন। তিন- উপরোক্ত দুই প্রকার ছাড়া আর যত প্রকার কালো টাকা আছে যেমন পাপিয়া-সম্রাটদের মত লোকদের কালো টাকা সাদা করতে ৩৫% হারে আয়কর প্রদান করে সরকারী সিকিউরিটিজ বন্ড ক্রযের সুযোগ থাকবে।
আয়কর আইনে করদাতার কর জাল তৈরী করার লক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য অন্য যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন করতে হয়। সে সমস্ত লেনদেন উপর বিভিন্ন হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান রাখা আছে। এই বিধান রাখার বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ সেটা সঠিক ভাবে প্রতিপালনের লক্ষে প্রতিটা কমিশনারেটে আলাদা একটা সার্কেল রাখার বিধার করা হবে। সেটার নাম হবে আন্তঃ কমিশনারেট সমন্বয়কারী সার্কেল। উক্ত সার্কেলের কাজ বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ থাকবে। স্ব কমিশনারেটে এ আয়কর বিবরণী দাখিল করা প্রতিষ্ঠান সমূহ তাদের উৎসে কর কর্তনের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সমূহের একটি তালিকা আয়কর বিবরণীর সাথে দাখিল করে থাকেন। সে তালিকা অনুসারে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সমূহ কোন কোন কমিশনারেটের অধীনে আয়কর বিবরণী দাখিল করেছেন সেটা সমন্বয় পূর্বক তার দপ্তরের প্রতিষ্ঠান যে কর কর্তন করেছেন তার সঠিকতা যাচাই করবেন এবং এই উৎসে কর কর্তনের তালিকার কোন প্রতিষ্ঠান যদি আয়কর বিবরণী দাখিল না করে থাকেন তবে সেটা জমা প্রদানের নিশ্চয়তা বিধান করবেন। উক্ত সার্কেল উৎসে কর্তনের তালিকা ধরে যে পরিমান আয়কর বিবরণী দাখিল করীর সংখ্যা বৃদ্ধি করে যে পরিমান কর আদায় করতে পারবেন সেটার ১০% হারে উৎসাহ ভাতা প্রদান করার বিধান আইনে বলা থাকবে।
বিভিন্ন সার্কেল বা কমিশনারের অযৌক্তিক বা করদাতার নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার জন্য হয়রানী মূলক কার্যক্রম গ্রহন করে থাকেন। সে ধরনের হয়রানী বন্ধ করার লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে শক্তিশালী একটা র্যাপিট এ্যাকশন টিম থাকবে। যদি কোন করদাতা এ ধরনের অভিযোগ করেন তবে সেটা যাচাই করে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট রিপোর্ট পেস করে দোষী করদাতা বা আয়কর কর্মকর্তা যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দেশে কর প্রদান না করা হলে বিভিন্ন প্রকার শাস্তির কথা বলা থাকলেও করদাতাকে কোন কর্মকর্তা হয়রানী করলে সেটার শাস্তির কোন বিধান আয়কর আইনে বলা নাই। সেটা সংযোজন ও প্রয়োগ এর নিশ্চয়তা রাখা হবে।
একজন মুক্তিযোদ্ধা আয়কর কর্মকর্তাকে কথার ছলে বলেছিলেন ”স্যার বাঙ্গালী খুব সাহসী জাতি, মৃত্যু নিশ্চিত জানার পরও জাতির জনকের এক কথায় নিজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেশের জন্য যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন দেশ উপহার দিলেন। সেই সাহসী বাঙ্গালী এখন কি পরিমান আয়কর বিভাগ বা আইনকে ভয় পান যে একটা ইটিন খোলার সাহস দেখান না। যদিও কোন না কোন দরকারে ইটিন নিলেও করযোগ্য আয় থাকা বা সে আয়ের সমপরিমান কর উৎসে কর্তন করার পরও আয়কর বিবরণী দাখিল করার সাহস দেখান না”। উনি আমার কথার সাথে একমত হয়ে বলেছিলেন জাতির জনক আমাদের স্বাধীন দেশের স্বপ্ন এমন ভাবে জাতিকে দেখিয়ে ছিলেন যে সমস্ত জাতি উনার কথায় বিশ্বাস রেখে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সেরুপ ভাবে যদি সকল করদাতা ও করযোগ্য আয় থাকার পরও কর প্রদান করতে সাহস না পায়, তাদের মন থেকে কর আইনের ভীতি দূর করা না যায় ও হয়রানী মুক্ত রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করা না যায় তাহলে যত কঠিন আইনই করা হোক না কেন করদাতার সংখ্যা বানানো যাবে না।
২০২০ সালে আমরা সেই মাহান নেতার জন্মশত বার্ষিকী উৎযাপন করছি। আগামী বছর ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। ভাল লাগছে এই ভেবে যে জাতির পিতার সূযোগ্য কন্যা এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী এবং উনার অক্লান্ত পরিশ্রম, সময় উপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহনের দ্বারা দেশ আজ মধ্যম আয়ের সম্মানে ভূষিত হয়েছে। দেশের সকল জনগনকে সারা বিশ্বের দরবারে বিশাল পরিচিতি এনে দিয়েছে। আর কষ্ট হয় এই ভেবে যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রায় ৪ কোটি লোকের করযোগ্য আয় থাকার কথা কিন্তু বাস্তবতা হল প্রায় ৫০ লক্ষ ইটিন ধারী থাকলেও আয়কর বিবরণী দাখিল করেন মাত্র ২২ লক্ষ করদাতা। জাতির পিতার স্বপ্ন আত্মনির্ভশীল জাতি হিসাবে সোনার বাংলা গড়তে দেশের অভ্যন্তরীন আয় বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই আর সেটা আসবে সকলের সঠিক ভাবে রাজস্ব প্রদানের দ্বারা। তাই কাক্ষিত লক্ষে যেতে হলে উভয় পক্ষকে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সেই ।
লেখকঃ- মোঃ আলীমুজ্জামান, লিড কন্সালটেন্ট, দ্যা রিয়েল কন্সালটেসন
ফাউন্ডারঃ- টিআরসি-রাজস্ব ভাবনা