তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সৌন্দর্য বর্ধনে সরকারি তদারকিতে সারাদেশে বনাঞ্চলের গাছ লাগানো কর্মসুচির দিঘির চারপাশের ভূমি থেকে বেলজিয়াম, আকাশমণি প্রজাতির ১০৫টি গাছ কেটে লোপাট করেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে সরকারের প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। গত দু’দিন যাবত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের সতিঝির গ্রামের সরকারি দিঘির চারপাশ থেকে সারিকৃত গাছগুলো কেটে লেন করে বিক্রি করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কেটে ফেলা ২৫টি গাছ দেখা শোনার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছ।
সরেজমিনে স্থানীয় নাম বলা একাধিক সূত্র ধরে শর্ত মোতাবেক বলেন, সোমবার সকাল ১০টায় সতিঝির গ্রামের দিঘির পাশ থেকে গাছ কাটছেন একই গ্রামের শহীদ মিয়া ও উজ্জ্বল মিয়া। পুলিশ দেখার পরই তারা গাছ কাটার যন্ত্রপাতি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে দিঘির তিন পাশের কেটে ফেলা বেলজিয়াম ও আকাশমণি প্রজাতির ১০৫টি গাছের গুড়া পাওয়া যায়। সেখানে কেটে ফেলা ও মাটিতে পড়ে থাকা ২৫টি গাছ পেয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা গাছগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেনকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। ১০৫টি গাছের বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা হবে বলে স্থানীয়রা জানান। এতে সরকার প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়েছে।
সতিঝিরগ্রামের বাসিন্দা মুকিদ মিয়া বলেন, আমার ভাইসহ এলাকার কয়েকজন মিলে এই গাছগুলো রোপন করেন। তবে গাছগুলো’কে বা কারা বিক্রি করেছে তা আমার জানা নেই। অভিযুক্ত উজ্জ্বল মিয়া বলেন, আমি শ্রমিক হিসাবে গাছ কাটতে গিয়েছিলাম। শমশেরনগর ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ কেটে ফেলা ২৫টি গাছ দেখে রাখার জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটার বিষয়টি দেখা গেছে। ১০৫টি গাছের গুড়ি পাওয়া গেছে। শ্রমিকরাও আমাদের যাবার বিষয় টের পেয়ে সটকে পড়ে পালিয়ে গেছে। কেটে ফেলা ২৫টি গাছ স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার বলেন, তিনদিন ধরে গাছ কাটা হচ্ছে অথচ আমাকে আজ জানানো হলো। সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই তহসিলদার’কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ সদর তহশিল অফিসের তহশিলদার ইবুঙ হাল বলেন, আমার অফিসের একজন স্টাফ সরেজমিনে তার ভাষ্য মতে সত্যতা পেয়েছেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।