নিজস্ব প্রতিবেদক : ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার এবং রেডিও বা টেলিভিশন মাধ্যম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনের ওপর কর কর্তনের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ‘ডিজিটাল মার্কেটিং এবং অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্রডকাষ্টিং’ বিষয়ক স্পষ্টীকরণ শিরোনামে এনবিআরের একটি চিঠি সংযুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব ব্যাংকে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং এবং অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্রডকাষ্টিং’ বিষয়ে অনিবাসী প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৫৬ ধারার আওতায় বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন হারে কর কর্তন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এনবিআর গত ১৭ এপ্রিল এক পত্রের মাধ্যমে দুটি সেবা সম্পর্কে স্পষ্ট করে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য করহার অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর থেকে ভিন্ন ব্যাখ্যা সংবলিত কোনো পত্র জারি করা হলে, তা অকার্যকর বলে গণ্য হবে।
এনবিআরের পত্রে জানানো হয়, ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ওয়েবসাইটে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার বা কোনো কন্টেন্টের প্রমোশন বা বিপনন করা হলে তা ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে গণ্য হবে। টেলিভিশন বা রেডিও চ্যানেলে প্রচারিত কোনো কন্টেন্ট বা বিজ্ঞাপন ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে গণ্য হবে না। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপনের ওপর করহার ১৫ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, টেলিভিশন বা রেডিও চ্যানেলে কোনো বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হলেই কেবল তা ‘অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্রডকাষ্টিং’ হিসেবে গণ্য হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ওয়েবসাইটে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার বা কোনো কন্টেন্টের প্রমোশন বা বিপনন করা হলে তা ‘অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্রডকাষ্টিং’ হিসেবে গণ্য হবে না। এ সেবার বিপরীতে প্রযোজ্য কর হার ২০ শতাংশ।