October 7, 2024 - 5:32 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআইন-আদালতলিভ টু আপিল খারিজ, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

লিভ টু আপিল খারিজ, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর ফলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার (৮ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, তারা বলেছে মামলা অবৈধ, আইন অনুযায়ী এ মামলা চলতে পারে না। আমরা বলেছি, এখানে লেবার আইনের তিনটি ভায়োলেশন হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মামলা দায়ের করার। সে অনুযায়ী তারা মামলা করেছে।

গত বছরের ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেয়। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলা বাতিলের আবেদন হাইকোর্টে খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য ৮ মে দিন নির্ধারণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

এতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা ও গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।

একই বছরের ১২ ডিসেম্বর মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। সেই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর আপিল বিভাগে যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ