আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ৩৮ বস্তা (১৯০০) কেজি সরকারি ভিজিএফ কর্মসুচির চাল জব্দ করার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রধান হয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান। তিনি ২/১ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
হরিণাকুন্ড উপজেলা প্রশাসন সুত্রে বলা হয়েছে, ভিজিএফ কর্মসুচির চাল ঈদের আগেই বিতরণের নিয়ম। কিন্তু কেন সেখানে মজুদ করে রাখা হয়েছির তা তদন্ত করে দেখা হবে। এদিকে এই তদন্তের খবরে চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ নিজের পচ্ছন্দের লোকদের আবার নতুন করে তালিকা করে তাদেরকে তদন্ত কমিটির সামনে সাজানো বক্তব্য দিতে মহড়া চলছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই ইউপি কার্যালয়ের গোডাউন থেকে এই চাল জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি সেখানে গিয়ে পরিষদের গোডাউন থেকে ৩৮ বস্তা চাল জব্দ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈদের আগে ওই ইউনিয়নের ৩ হাজার ৬১২জন হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৩৬ হাজার ১২০ কেজি ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুস্থদের তালিকা করে তাদের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ সবাইকে ঈদের আগে চাল না দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ইউপি কার্যালয়ে ওই চাল রেখে দেন।
ট্যাগ অফিসার সহকারী শিক্ষা অফিসার সুবির কুমার জানান, চাল উদ্বৃত্তের বিষয়ে চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ তাকে কিছুই বলেননি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ আগেই গনমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন ঈদের আগে দুস্থদের তালিকা করা হয়েছিল। তাদের অনেকে চাল নেয়নি। সেই চাল পরিষদের গোডাউনে ছিল।
ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এর আগে হরিণাকুন্ডুর চাঁদপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ চালের কার্ড প্রকাশ্যে বিক্রি করা হলেও ইউএনও সুস্মিতা সাহা এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।