October 7, 2024 - 1:17 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআইন-আদালতরোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গোলাবারুদসহ চার সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গোলাবারুদসহ চার সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

spot_img

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ চার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন( এপিবিএন) সদস্যরা।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিন দলবলসহ ক্যাম্প-৫ এর একটি ঘরে অবস্থানের খবরে অভিযান পরিচালনা করে ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এসময় তাঁদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান,৩০টি চায়না রাইফেলের গুলি, ২৭টি পিস্তলের গুলি, ৫টি শর্টগানের কার্তুজ, ৩টি খালি ম্যাগজিন,৪টি ওয়াকিটকি,৫টি মোবাইল সেট ও১টি চাকু উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ইষ্টের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের(২০),উখিয়ার ৬নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত কামাল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ(২৫),উখিয়ার ৫ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা জোবায়ের আহমদের মেয়ে মোসা বিবি(১৬)ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত সালেহ আহমদের স্ত্রী জমিলা বেগম(৪৮)।আটককৃতদের দুপুরে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শুক্রবার(২৮ এপ্রিল)সকাল ১১ টার দিকে ১৪ এপিবিএন কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কক্সবাজারের ডিআইজি (এফডিএমএন) মো. জামিল হাসান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এপিবিএন এর কাছে খবর আসে ক্যাম্প-৭ এ সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ সংঘটিত করার পরিকল্পনা করছে। সংবাদ পাওয়ার পর ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে টহল জোরদার করা হয়। ঘটনাস্থলে এপিবিএন সদস্যরা উপস্থিত হলে তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। সরকারি সম্পদ রক্ষা ও আত্নরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গুলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। একই ঘটনার সূত্র ধরে সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে রাতভর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিন দলবলসহ ক্যাম্প-৫ এর একটি ঘরে অবস্থানের খবরে অভিযান পরিচালনা করে ৪জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিন সহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।

ক্যাম্পে তল্লাশি চৌকি থাকার পরেও কিভাবে অস্ত্র,মাদক ক্যাম্পে প্রবেশ করে সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”আমরা সবসময় চেষ্টা করি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে। ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় কৌশলে রোহিঙ্গারা কাটাতারের বেড়া কেটে বাইরে চলে যায়। অন্যদিকে, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার বিতরণ কেন্দ্র ক্যাম্পের বাইরে হওয়ায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আসা যাওয়া করে। এর ফাঁকে বের হওয়ার সুযোগ পায়। তবে তল্লাশি চৌকিতে বিভিন্ন সময় মাদক,অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি তার নজির রয়েছে।

ব্রিফিংয়ে ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ,৮ এপিবিএন অধিনায়ক আমির জাফর সহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ