কবিতা -১
তিনি কি আসবেন
(বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা)
তিনি কি আসবেন
আবার আসবেন
যিনি চোখ তুলে তাকালে
রোদ উঠতো ফুল ফুটতো পাখি ডাকতো
সাম্য স্বদেশ স্বাধীনতা করে করে
আমলা হবার বাসনা
গৃহের নিবিড় সুখ
জলাঞ্জলি দিলেন
সুনিপুণ স্থপতির মতো
মুক্ত স্বদেশ নির্মেঘ নীল আকাশ
রেখে গেলেন
উত্তরসূরিদের অনায়াস অধিকারে
বাংলার ঘরে ঘরে
অগণন সূর্যোদয়ের স্বপ্নীল প্রত্যাশায়
যৌবনের অনিন্দ্যসুন্দর অনেকগুলো বছর
কারাবাসে কাটালেন যিনি
আরণ্যক অন্ধকারে
হ্যামিলনের আশ্চর্য বাঁশিঅলার মতন
বুনো হাওয়ায় যে কণ্ঠ ভেসে এলে
ঘর-গৃহস্থালি বনবাদাড় উজাড় করে
ছুটে যেতো অযুত লক্ষ মানুষ
পল্টনে রেসকোর্সে স্বপ্নের ঘোরে
যাঁকে দেখে
পদ্মা মেঘনার উত্তাল তরঙ্গরাশি
নত হতো বিপুল কুর্নিশে
তিনি কি আসবেন
আবার আসবেন
আমাদের মাঝে পতিত পৃথিবীতে
যাঁর মুখ চেয়ে
সন্তানপ্রতিম বাঙালি আমৱা
অনন্ত প্রার্থনার সুরে বলবো
হে জনক হে ঋষি
এ ধুলো এ মাটি স্পর্শ করে দাও
সোনা হোক খাঁটি সোনা!
কবিতা -২
কেউ জানে না
কেউ জানে না
গন্ধ নিয়ে ঘরে ফিরি
একা আমি মানুষবিহীন
কেউ জানে না।
কোথায় আমি কেমন ছিলাম
শেষ বিকেলের আঁধার-আলোয়
যুগল প্রেমে মাখামাখি!
কেউ জানে না কেউ জানে না
কতখানি গভীর হলে অনুভূতি
দুজন মানুষ ভাগ করে নেয়
একই স্বপ্ন একই স্মৃতি
আকাশ ডাকে বাতাস ডাকে
আমরা ব্যাকুল হই
আমরাতো আর একলা এখন নই
নদীর কাছে গেলে পরে
বৃক্ষ বলে অভিমানে
আমায় দেবে সময়?
চাঁদের কাছে হাত বাড়ালে
তারারা সব ডেকে বলে
তোমরা গেলে কই?
ঐ দেখ না ভালোবাসার প্রদীপ জ্বেলে
আমরা কেমন রাত্রি জেগে রই!
কবিতা -৩
যতদূর যেতে হয়
যতদূর যেতে হয়
জীবনের বহুমুখী আগুন
আমাকে পুড়িয়েছে;
তোমাকে খুঁজে পেতে
যাবো আমি একা হেঁটে
অনেক দূরের পথ;
উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম
সবখানে যাবো আমি
তোমার সন্ধানে।
তোমারই সন্ধানে
যাবো আমি
দিগন্তরেখা ছাড়িয়ে
গ্রহ-নক্ষত্র পেরিয়ে
স্বর্গ কি-বা নরক
কিছুই জানি না
তোমার জন্য যাবো আমি
যেদিকে দুচোখ যায়
যতদূর যেতে হয়!