অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা। আহরণ হয়েছে ৩২১ কোটি ৮ লাখ টাকা। যদিও গত মার্চে ৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বাড়তি আহরণ হয়েছে। ওই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আহরণ হয়েছে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
ডলার সংকটসহ বন্দর দিয়ে শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানির পরিমাণ কমায় রাজস্ব আহরণ কমেছে বলে দাবি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। তবে ঈদুল আজহায় মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়লে রাজস্ব আহরণ বাড়ার আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই হিসাবে অর্থবছরের জুলাইয়ে বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, আগস্টে ৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ, অক্টোবরে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ, নভেম্বরে ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ, ডিসেম্বরে ৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিপরীতে ২৮ কোটি ৩৬ লাখ, জানুয়ারিতে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার বিপরীতে ২৪ কোটি ১৭ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ, মার্চে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।