কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : হজের কোটা পূরণ করতে ‘একদিনের বিশেষ’ সুযোগ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেজন্য মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) হজের নিবন্ধনের সার্ভার খুলে দেওয়া হবে। চলতি বছর এটিই শেষ সুযোগ বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম হজ নিবন্ধন শুরু হয়। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৭ জনের হজ কোটা এখনো পূরণ হয়নি। অথচ কোটা পূরণে আট বার সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এখনো চার হাজারের বেশি হজযাত্রীর কোটা ফাঁকা রয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, হজযাত্রী ও এজেন্সিগুলোর অনুরোধে চলতি বছর হজে যেতে আরও একদিন হজযাত্রী নিবন্ধন চলবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর গত ১৬ এপ্রিলের পত্র ও হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধন সার্ভার আগামী ২৫ এপ্রিল একদিনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও বলা হয়, নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক উন্মুক্ত রয়েছে এবং উভয় ব্যবস্থাপনায় নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যাওয়ার সুযোগ আছে। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। কোনোক্রমেই আর সময় বাড়ানো যাবে না।
বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন, সেটা আগামী ৯ মে’র মধ্যে সৌদি সরকারকে জানাতে হবে। এজন্য নিবন্ধনের শেষ সুযোগটুকু দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার সুযোগ আছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
কিন্তু সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ এখনো নিবন্ধনের বাকি আছে ৭ হাজার ৫০৩ জনের। অবশ্য এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কোটা সরকারি এবং বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা টিম সদস্যদের দিয়ে পূরণ হবে। সে হিসাবে নিবন্ধনের জন্য প্রকৃত কোটা বাকি আছে ৪ হাজারের কিছুটা বেশি।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় হজ নিবন্ধন। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত নিবন্ধন বন্ধ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই কোটা পূরণ না হলে সৌদি সরকারকে ফেরত দিতে হবে। এই ফেরত দেওয়া ঠেকাতে একদিনের সুযোগ দিতে চায় মন্ত্রণালয়।
তারা জানান, অনেকে মনে করেছে আরও হয়তো সময় বৃদ্ধি হবে। কিন্তু ১১ তারিখের পর সময় না বাড়ায় অনেকে হজ এজেন্সি অফিসে যোগাযোগ করেন। তাদের অনুরোধে এ সময় বাড়ানো।