বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে তিন গুণ বেশি জমিতে এবার গমের আবাদ হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া চাষিরা আবারও গমের আবাদ শুরু করেছে। সব মিলিয়ে চলতি বছরে এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ গম চাষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি বিভাগ।
খাদ্যশস্যে ধানের পরেই রয়েছে গমের অবস্থান। এক সময় যশোরের শার্শায় বিপুল পরিমাণে গম চাষ হতো। তবে গমে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় গম চাষিরা।
ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গম চাষিরা। এর পরেই বেশ কয়েকবছর মুখ ফিরিয়ে নেয় তারা। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবছর শার্শায় রেকর্ড পরিমাণ গম চাষ হওয়ায় আবারও এ চাষে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ মৌসুমে ব্যাপকহারে গমে ব্লাস্টের আক্রমণ হয়। পরপর কয়েক বছর চাষিরা গম চাষ করে ব্যাপক হারে লোকসানে পড়ে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মাত্র ৯০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২শ ৪৬ হেক্টর জমিতে।
গম চাষি ইসমাইল হোসেন জানান, গম আবাদে রোগ হওয়ার কারণে কয়েক বছর আগে অনেক ক্ষতি হয়েছিল। সে সময় কৃষি অফিস থেকে গম চাষে নিষেধ করাই আর গম চাষ করিনি। কৃষি বিভাগ থেকে এবছর আবারো গম চাষ করতে বলাই এবারও গম চাষ করেছি। এবছর বেশ ভালো গম হয়েছে। এত সুন্দর গম আগে কখনো হয়নি। এবার বেশ ভালো ফলন পাবো বলে আশা করছি।
কৃষক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এবছর দুই বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। গম বেশ ভালো হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এলাকায় গম চাষ বেড়েছে। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি এ গম চাষ করেছি। এবার কোনো রোগও হয়নি। আশা করছি গত দুই বছরের লোকসান এবার পুঁষিয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল জানান, গম চাষ একটি লাভজনক ফসল। অল্প খরচে অধিক ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় গম চাষ আবারও কৃষকরা বেশি বেশি করতে শুরু করেছে। এ বছর গমের আবাদ লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে তিন গুণ বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে। আশা করছি আগামী বছর গমের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।