সেলিম রেজা, মেহেরপুর প্রতিনিধি: গরিবের আমিষ খ্যাত ব্রয়লার মুরগীর দাম মেহেরপুরে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মিটতো ব্রয়লার মুরগী দিয়ে। দাম বেশি হওয়ায় সেই ব্রয়লারও এখন কেটে কেটে বিক্রি হচ্ছে মেহেরপুরের বাজারে। নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ৫শ গ্রাম ৭শ গ্রাম বা যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই কিনছেন কাটা ব্রয়লারের মাংস।
রোজার মাসে গরু-ছাগলের মাংসের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মুরগীর বাজারে ক্রেতা সংখ্যা বেশি। তাই রমজানের প্রথম দিন থেকেই ২৬০-২৮০ টাকা পর্যন্ত ব্রয়লার কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। সোনালী মুরগী ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি, লেয়ার মুরগী ৩১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং দেশি মুরগী প্রায় ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগী বিক্রেতা তাহের আলী বলেন, রোজার কারণে বাজারে মাংশের ক্রেতা অনেক বেশি। গরুর মাংস, ছাগলের মাংস এমনকি মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণে মুরগীর উপর চাপ পড়েছে। অনেকেই মুরগীর কাটা মাংস কিনছেন প্রয়োজন অনুযায়ী।
জেলা শহরের নতুন পাড়ার সামাদ আলী বলেন, রোজার মাসে তরকারি ভালো না হলে কেউ খেতে চায়না। তাই ৬০০ গ্রাম ব্রয়লারের মাংস কিনলাম। সেহরীর সময় এটা দিয়ে খাওয়া হবে। অন্য মাংসের অনেক দাম। রোজার মাসে অনেক খরচ একটু হিসাব করে এই মাস চালাতে হবে।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে ৮৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতারা অভিযোগ তুলে বলছেন বাজার মনিটরিং না থাকা এবং সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় ব্যবসায়ীরা হুহু করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মেহেরপুরের বাজারে শুধু মাংস নয় মাছ, শাকসবজি, দুধ, ডিমের দামও কম না; ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে ইচ্ছে মতোন।
তবে বাজারের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অসঙ্গতি পেলে জরিমানা করা হচ্ছে বলে দাবি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেহেরপুর কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের।