নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার জামিনে মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আদালতে রফিকুল ইসলাম মাদানীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাফ আলী মোল্লা।
তিনি জানান, রফিকুল ইসলাম ইতোমধ্যে মুচলেকা দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেবেন না। এরপর আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এখন তার জামিনে মুক্তিতে বাধা নেই।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব। পরের দিন ৮ এপ্রিল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাব মামলা করে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গত ১১ এপ্রিল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় স্থানীয় এক ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। এ ছাড়া তেজগাঁও এবং মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। মামলার এজাহারে রফিকুলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। ওই সময় বিক্ষোভ ও হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল। রফিকুল ইসলাম মাদানীর ওয়াজে সহিংসতার উসকানি ছিল বলে দাবি করেছে র্যাব।
রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। ইসলামি দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় রফিকুলের বয়স ৩০-এর কাছাকাছি হলেও আকার-আকৃতির জন্য তাকে ‘শিশুবক্তা’ বলে ডাকেন ভক্তরা।