স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দলের সামনেই ছিল নতুন শুরুর চ্যালেঞ্জ। হুগো লরিসের বিদায়ের পর নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। এদিকে কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর রোনাল্ড কোম্যানের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছিল ডাচরা। কিন্তু সেটা সফল হল কোথায়! বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেই হারের মুখ দেখল নেদারল্যান্ডস। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই জোড়া গোল করলেন ২৪ বছরের তারকা স্ট্রাইকার। গোল করে ও করিয়ে ইউরো কাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ফ্রান্সকে এনে দিলেন ৪-০ ব্যবধানে বড় জয়।
অধিনায়কত্ব না পাওয়ার অভিমানে জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে পারেন আতোঁয়া গ্রিজম্যান! এই ম্যাচের আগেও এমন কথা শোনা গিয়েছিল। গ্রিজম্যানের হতাশার বিষয়টা বুঝে এমবাপে নাকি তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। তবে এমবাপের কথায় বহু যুদ্ধের নায়ক গ্রিজম্যানের মন না গললেও, অভিমানের বরফ কিছুটা হলেও গলতে পারে। কারণ খেলার মাত্র ২ মিনিটে এমবাপের থ্রু থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অভিজ্ঞ গ্রিজমান। এরপর ৮ মিনিটে ফরাসিদের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন দায়ত উপমেকানো।
অধিনায়ক হিসেবে গোলের খাতা খুলতে এমবাপেকেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২১ মিনিটে অরেলিয়াঁ চুয়ামেনির পাস থেকে গোল করেন এমবাপে। মাত্র ২১ মিনিটে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে খেলা থেকে হারিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ফলে প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও ডাচরা একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি।
ফ্রান্সের আক্রমণ দিয়েই শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধ। ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে নেদারল্যান্ডসও ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যায়। ৭৭ মিনিটে গ্রিজম্যানকে তুলে নেন দিদিয়ের দেশঁ। ৭৮ মিনিটে সহজ একটি সুযোগ মিস করেন এমবাপে। ফরাসি অধিনায়কের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ডাচ গোলকিপার। তবে বেশিক্ষণ আর তাঁকে আটকে রাখা যায়নি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন এমবাপে। আর এই গোলের জন্যই তিনি ফ্রান্স জাতীয় দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান, ছাড়িয়ে গেছেন করিম বেনজেমাকে। ফ্রান্সের হয়ে তাঁর গোল এখন ৩৮টি।
আরও পড়ুন: