কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : পবিত্র মাহে রমজানে এক মাস রোজা রাখা ফরজ। এ মাসে রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত আমল। যেমন সেহরি খাওয়া, ইফতার করা, তারাবির নামাজ আদায় করা, কোরআন তিলাওয়াত করা, শেষ দশকে ইতিকাফ করা। এ ছাড়া রয়েছে মোস্তাহাব ও নফল আমলে সত্তর গুণ অধিক সওয়াবের সুযোগ।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো সালাত বা নামাজ এবং আরেকটি হলো রোজা। তাই রোজার সঙ্গে নামাজের সম্পর্ক সুগভীর। তারাবি শব্দটি বহুবচন, এর একবচন হলো তারাবিহাহ; যার আভিধানিক অর্থ- বিশ্রাম ও প্রশান্তি।
পরিভাষায় তারাবি হলো— ‘রমজান মাসে এশার নামাজের পর যে সুন্নত নামাজ কায়েম করা হয়, সে নামাজ হলো তারাবির নামাজ।’ (কামুসুল ফিকাহ)। যেহেতু চার রাকাত পরপর বিরতির মাধ্যমে বিশ্রাম নেওয়া হয়, তাই এর এ নামকরণ করা হয়েছে।
প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন— ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি; অতএব যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে দিনে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এরূপ পবিত্র হবে, যেরূপ নবজাত শিশু মাতৃগর্ভ থেকে (নিষ্পাপ অবস্থায়) ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ি শরিফ, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা ২৩৯)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজান মাসে রাত্র জাগরণ করে তারাবির নামাজ পড়বে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০, হাদিস ৩৬; ই. ফা.)।
হজরত আবুজার গিফারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলে করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে (তারাবির) নামাজ পড়ল, ইমাম প্রস্থান করা পর্যন্ত (সমাপ্ত করে গেল); তার কিয়ামে লাইল (রাত জাগরণের সওয়াব পূর্ণরূপে) লিখিত হবে। (তিরমিজি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬৯, হাদিস ৮০৬)।
আরও পড়ুন:
হজের খরচ কমলো, বাড়ল নিবন্ধনের সময়