শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের দুটি মামলায় দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবা র(২২ মার্চ) বেলা ১০টা থেকে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে চলে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।
আসামীপক্ষে শুনানি করেন এ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু এবং এ্যাড. আব্দুল মজিদ(২)। তবে সব যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আগামী ২৮ মার্চ পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য্য করেছে আদালত।
এ দিন সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৩৮ জন আসামীকে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। মামলায় এ্যাড. আব্দুস সাত্তার নামের এক আসামী জামিনে মুক্ত রয়েছেন এবং নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. শাহানারা পারভিন বকুল প্রমুখ।
এর আগে গত ১৫ মার্চ বুধবার আসামীপক্ষ আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা ১১টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা কলারোয়ার দলীয় অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মূখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির।
গত বছরের ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে।