আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক পঞ্চমবারের মতো বিয়ের পিড়িঁতে বসতে যাচ্ছেন। তার বয়স হয়েছে ৯২ বছর। ইতিমধ্যে বাগদান সেরেছেন তিনি। রুপার্ট তার নিজস্ব পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক পোস্টে’ সোমবার দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান।
রুপার্টের এবারের বিয়ের কনে অ্যান লেসলি স্মিথ। বয়স ৬৬ বছর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর সাবেক পুলিশ চ্যাপলেইন (পুলিশের বিশেষ পরামর্শক)।
অ্যান লেসলি স্মিথের বিয়ে হয়েছিল ব্যবসায়ী, গায়ক ও টেলিভিশন নির্বাহী চেস্টার স্মিথের সঙ্গে। ১৪ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একাই ছিলেন তিনি।
অ্যানের সঙ্গে প্রেম ও বাগদানের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে রুপার্ট বলেন, ‘প্রেমে পড়ার পর আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম যে, এটাই আমার শেষ প্রেম। এটা ভালো, আমি ভীষণ খুশি।’
অ্যানের সঙ্গে রুপার্টের প্রথম দেখা হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে। পরিচয় গড়ায় প্রণয়ে।
রুপার্ট মারডক প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৬ সালে, অস্ট্রেলিয়ান বিমান সেবিকা প্যাট্রিসিয়া বুকারকে। ১৯৬৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ওই বছরই স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আন্না মানকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তাঁদের সংসার টিকে ছিল।
এরপর চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেন রুপার্ট। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তারা সংসার করেন। এরপরই ওয়েন্ডির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মারডকের। রুপার্ট ২০১৬ সালে লন্ডনে বিয়ে করেন সাবেক সুপার মডেল জেরি হলকে। গত বছর তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।
প্রথম তিনটি সংসারে ছয়জন সন্তান রয়েছে রুপার্টের।
মিডিয়া মোগল হিসেবে পরিচিত রুপার্ট মারডক নিউজ করপোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান। বিশ্বের ৫টি দেশে ১২০টি পত্রিকার মালিক রুপার্র্ট ও তার পরিবারের সদস্যরা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পোস্ট, ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ইংল্যান্ডের দ্য সান ও দ্য টাইমসের মালিক।
রুপার্ট জানিয়েছেন, চলতি বছরের গ্রীস্মে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। এরপর তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন দু’দেশ মিলিয়েই বসবাস করবেন।


