অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো-২০২৩ শুরু হচ্ছে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। ৩ দিনব্যাপী এই এক্সপো চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
রোববার (১৯ মার্চ) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের মেঘনা হলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ইউএস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউএসবিসিসিআই) বাংলাদেশ অংশের চিফ কো-অর্ডিনেটর এনামুল কবির সুজন। অনুষ্ঠানে অনলাইন মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইউএসবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. লিটন আহমেদ ও ইউএসবিসিসিআই এক্সপো স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. বদরুদ্দোজা সাগর।
আয়োজকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য এ বিজনেস এক্সপোটি নিউইর্য়কের লা-গার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়টে অনুষ্ঠিত হবে। ইউএস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউএসবিসিসিআই) এক্সপো আয়োজন করবে।
বিডার মহাপরিচালক শাহ্ মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, সরকার এ ধরনের আয়োজনকে সব সময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। যারাই দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে দেশের বাইরে উদ্যোগ নেবে তাতে সরকারের সহযোগিতা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মুক্তবাজার অর্থনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং উন্নত রাষ্ট্রের দিকে পথযাত্রা সুগম করার লক্ষ্যে ইউএসবিসিসিআই কাজ করে যাচ্ছে। ২ দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সবাই লাভবান হবে এবং ব্যবসায়িক অগ্রগতি সাধিত হবে।
এতে আরো বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে টিকে থাকার লড়াইয়ে একে অপরের পাশে থাকার বিকল্প নেই, আর তাই ইউএসবিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগ।
এছাড়াও এই এক্সপোতে ইপিবি, বিডা, এসএমই ফাউন্ডেশনসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা ও প্রক্রিয়ার কথা জানানো হয়।
ইউএসবিসিসিআইর সভাপতি মো. লিটন আহমেদ বলেন, আগের এক্সপোতে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা ব্যবসার নতুন নতুন উপাদান খুঁজে পাচ্ছি বিজনেস এক্সপোর মাধ্যমে। এছাড়া চলতি বছর আমরা আরো কিছু আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইউএসবিসিসিআই মহিলা উদ্যোক্তা সামিট-২০২৩। যা আগামী ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
ইউএসবিসিসিআই এর বাংলাদেশ অংশের প্রধান সমন্বয়ক এনামুল কবির সুজন বলেন- ইউএসএ ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এ এক্সপো কাজে আসবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে টিকে থাকার লড়াইয়ে একে অপরের পাশে থাকার বিকল্প নেই আর তাই ইউএসবিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগ।