তিমির বনিক, ষ্টাফ রিপোর্টার: সবুজ মিয়া মৌলভীবাজারের হাইলহাওর তীরে বিশাল এলাকাজুড়ে শীতকালীন সবজি চাষ শুরু করেছেন। হাওরের বিলে এক প্রান্তে জেলেরা মাছ ধরছে আর আরেক প্রান্তে সবুজ মিয়া শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রায় ৯ বছর প্রবাসে থেকে ২০২২ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন।
হাওরপাড়ে শীতকালীন সবজি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মালদ্বীপ ফেরত যুবক কৃষক সবুজ। হওরের তীরবর্তী এলাকায় তিনি শীতকালীন সবজি চাষ করে সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার সবজি চাষের ফলে নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আশেপাশের প্রকৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই সবজি চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন।
সবুজের কৃষি জমিতে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, কচুরলতি, লালশাক, শসা, টমেটোসহ নানা প্রজাতির শীতকালীন সবজির চাষ হচ্ছে। প্রতিটি ডগার মধ্যে ঝুলে রয়েছে বিশাল আকৃতির বড় বড় লাউ।
ক্ষেতের প্রতিটি সারিতে থরে থরে ঝুলছে লাউ। সবজি চাষের পাশাপাশি তিনি দেশি-বিদেশি গরু-ছাগলের খামারও গড়ে তুলেছেন। সপ্তাহে দু’দিন গাড়িতে করে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লতি, লালশাক ও শসা নিয়ে যাওয়া হয় জেলা শহর মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গলসহ আশেপাশের গ্রামীণ হাটবাজার গুলোতে। সবুজ মিয়া বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর বিদেশে থাকার পর ২০২২ সালে দেশে ফিরে আসি। প্রথমে শখের বশে ৪৫টি বিদেশি প্রাজতির গাভী কিনে খামার গড়ে তুলি। খামারে বার্মা ও শাহিওয়াল প্রাজাতির গরুই বেশি। এখন পর্যন্ত গরুর খামার থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় করেছি। এর পাশাপাশি হাইল হাওরের তীরের কাছে শীতকালীন সবজি চাষ করা শুরু করি। আমার জমিতে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে মাসে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারি। শীতকালীন সবজি চাষ করে আমি সফল হয়েছি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, কৃষকরা ধীরে ধীরে সবজি চাষে ঝুঁকছেন। শীতকালীন সবজি কৃষকরা লাভবান হওয়ায় অগ্রহ বাড়ছে অন্যদের মধ্যেও।
শুধু সবুজ মিয়া নয়, হাইলহাওরের তীরঘেঁষা পুরো কান্দিপারা গ্রামের বেশিরভাগ কৃষকই শীতকালীন সবজি চাষ করে আসছেন বহুকাল থেকে। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সহযোগিতা করছি। কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষ করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।