November 23, 2024 - 12:22 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসম্পাদকীয়২০১৪ সালের মতো সঙ্কট যেন আর না হয়

২০১৪ সালের মতো সঙ্কট যেন আর না হয়

spot_img

২০১৪ সালের নির্বাচন, নির্বাচনপূব সহিংসতার কথা এদেশের মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। সে সময় যে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তার কঠিন বাস্তবতার প্রত্যক্ষদর্শী এদেশের সর্ব সাধারণ। 

আবারো সে রকম কোন সঙ্কট তৈরি হতে যাচ্ছে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন এদেশের সাধারণ জনগণ। তাদের শঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে বর্তমান রাজনৈতিক ময়দানে পরস্পর বিরোধী কঠিন মনোভাব। 

বিএনপি বলছে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং সেই সঙ্গে সরকার ও সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসাব সম্মেলনে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারেও সরকারের কিছু করণীয় নেই, সেখানে যা হবার তা আইনি প্রক্রিয়াতেই হবে। এছাড়া বিএনপির আলোচনার দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশের জন্য দু:খজনক হলো এটা যে প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগি ও নানা রকম সমস্যা দেখা যায়।

তার মতে, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো তখন পরপর কয়েকটা মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিলো। কিন্তু এরপর থেকে অবাধ মুক্ত নির্বাচন করতে ব্যর্থ হচ্ছি। এখন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির বক্তব্যও পরস্পরবিরোধী।

এ প্রসঙ্গে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরো বলেন, ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো করতে পারবেন কিন্তু তাতে রাজনৈতিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

বর্তমান রাজনীতি আমাদের দেশের দুটি বড় দলের ভেতরে পরস্পরের বিপরীতমুখী দাবি দাওয়ার মধ্যে আটকে পড়েছে। সচেতন মহল মনে করছেন, নির্বাচনে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা এবং সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার দাবি যৌক্তিক।

তবে আমরা বিশ্বাস করি, দেশের যে কোন সঙ্কট সমাধান হওয়ার একমাত্র পথ আলোচনা। আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে, জনগণ যাতে সুষ্ঠভাবে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারে, তারজন্য সুষ্ঠ পরিবেশ সরকারকেই তৈরি করতে হবে আর সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে বিরোধী দলকে। 

আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, হয়তো সেটাই শেষ কথা নয়। “রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই” বলে যে প্রবাদ আছে, সেটির আলোকে পর্দার আড়ালে হলেও বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে। 

একটা বিষয় সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের মনে রাখতে হবে, এদেশের সাধারণ মানুষ ক্ষমতা চায় না, তাঁরা চায় নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, প্রতিনিধি নির্বাচন করতে। এক্ষেত্রে তাঁদের দাবি, ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সেটা অবশ্যই করতে হবে বর্তমান সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

২ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানি ২টি হলো-গ্লোবাল...

জেড ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঢাকা স্টক...

পুঁজিবাজারের ২ কোম্পানির এজিএমের তারিখ পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড ও বিবিএস কেবলস পিএলসির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরিবর্তন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ...

শরীয়াহ পরিপালনে ইউনিয়ন ব্যাংক বদ্ধপরিকর

কর্পোরেট ডেস্ক : ইসলামী ব্যাংকিং এমন এক ব্যাংক ব্যবস্থা যেখানে সকল লেনদেনে সুদ নিষিদ্ধ।ব্যাংকিং সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ইসলামী শরীয়ার আলোকে পরিচালিত হয়। ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি....

সাউথইস্ট ব্যাংক, টাইনি টটস ও সামার ফিল্ড স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

কর্পোরেট ডেস্ক : সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. টিউশন ফি কালেকশন সার্ভিস, পে-রোল ব্যাংকিং এবং অন্যান্য ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদানের জন্য ব্যাংকের হেড অফিসে টাইনি টটস ও...

বরগুনায় প্রান্তিক মানুষের মাঝে এনআরবিসি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ

কর্পোরেট ডেস্ক : বরগুনা জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নিন্ম আয়ের প্রান্তিক মানুষদের মাঝে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুন:অর্থায়ন তহবিল কর্মসূচির আওতায়...