নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে এফবিসিসিআই আয়োজিত বিজনেস সামিটের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় তিনটি প্ল্যানারি ও ছয়টি প্যারালাল সেশন।
২০৪১ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের সক্ষমতা অর্জনের পথে কেন বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন? দিনের প্রথম এই সেশনে এ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের সুবিধা জন্য ৪০ বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে রয়েছেন দীর্ঘ মেয়াদি ট্যাক্স ছাড়।
সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যবসাবান্ধব। দেশের বাণিজ্য প্রসারে ৪০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে সরকার। কেউ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে ১০ বছর পর্যন্ত ছাড় দেবে সরকার।
সেশনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
ইয়াং ওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও সিইও কি হাক সুন জানান, আমরা দেখছি বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে উন্নতি করছে। দেশের ব্যবসায়ীরা এনার্জেটিক। ব্যবসার পরিবেশ বেশ উন্নত।
এতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে আমাদের সরকার সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। লাভজনক বিনিয়োগ করতে চাইলে বাংলাদেশে আসুন।
সামিটে অন্য একটি সেশনে পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠনগুলোর কর্তা ব্যক্তিরা জানান, বিশ্বে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে বাংলাদেশই সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টের জ্যেষ্ঠ পরিচালক শ্রীদেবী মন্তব্য করেন, বিশ্ব পোশাক শিল্পে বাংলাদেশই সেরা।
তার দাবি, বাংলাদেশ দ্রুতগতির অর্থনৈতিক দেশ। তারা আমাদের সঙ্গে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। আশা করি, অন্যরাও হতাশ হবেন না।
৩ দিনের সামিটের সোমবার শেষ দিনে দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে নিয়ে আটটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।