মো. ফরহাদ হোসাইন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর বর্ণমালা শিশু বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১১ শিক্ষার্থীর সবাই বৃত্তি পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা শতভাগ বৃত্তি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অন্যনদের মাঝে ১মণ মিষ্টি বিতরণ করেন অধ্যক্ষ।
বুধবার বিকেলে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও রাত সাড়ে ১০টায় স্থগিত হওয়া ফলাফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রকাশিত বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ বৃত্তি পাওয়ার এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি হলো নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বর্ণমালা শিশু বিদ্যা নিকেতন।
ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ জন অংশগ্রহণ করে ১০ জন ট্যালেন্টপুল ও এক জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।
বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- অরণ্য রানী (৩৬৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৬৮), সজল রায় (৩৬৯), মো. তুহিন ইসলাম (৩৭০) সাধারণ, মো. হিমেল ইসলাম (৩৭১), মোছা. রাকিবা (৩৭২), মোছা. তানিয়া আক্তার (৩৭৩), প্রিতী রানী রায় (৩৭৪), মোছা. সমাপ্তি আক্তার (৩৭৫), ইভা মনি (৩৭৬) এবং মোছা. সুমাইয়া আক্তার (৩৭৭)।
বর্ণমালা শিশু বিদ্যা নিকেতন অধ্যক্ষ শফিয়ার রহমান জানান, ‘এবার বর্নমালা স্কুল থেকে ১১ জন বৃত্তি পরিক্ষায় অংশ নেয়। অংশ নেওয়া ১১ জনই সফলতা অর্জন করে। স্কুলের এই সফলতায় খুশি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীসহ সবাই।’
অধ্যক্ষ শফিয়ার রহমান আরও বলেন, কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। যেহেতু কোভিডে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার যে ঘাটতি হয়েছিল, ছাত্র ছাত্রীদের পড়াতে গিয়ে আমাদের যেই স্ট্যান্ডার্ড সেটা পাচ্ছিলাম না। শেষের দিকে তাদের উন্নতির জন্য প্রচুর শ্রম দিয়েছি। যার জন্য শিক্ষার্থীদেরও কষ্ট হয়েছে, এবং আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রচণ্ড কষ্ট করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ তাদের কষ্টটা সার্থক হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা শেষ মুহূর্তে যে প্রেশার নিয়েছিল সেটার সাফল্য শেষ পর্যন্ত এসেছে। আমরা অনেক খুশি।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় আমাদের করোনা পরবর্তী সময়ে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা অগ্রসরের জন্য স্যারদের পরিকল্পনা কাজে লেগেছে সেই অনুযায়ী আমরা ফলাফল পেয়েছি। আগামীতে আরও ভালো করতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করব।