মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুলের শিক্ষার্থীরা সদ্য প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফলে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়ে কক্সবাজার জেলায় নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি বরাবরের মতো প্রতিষ্ঠানটি জেলায় প্রথমস্থান অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সুদক্ষ মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক মন্ডলী ও সচেতন অভিভাবকদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় বরাবরের মতো চমৎকার ফলাফল করেছে জেলার অন্যতম সেরা এই প্রতিষ্ঠানটি।
২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩২ জনই বৃত্তি অর্জন করে। তন্মধ্যে ২১ জন ট্যালেন্টপুল ও ১১ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি অর্জন করেছে। ২৮ মার্চ প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফলে সর্বোচ্চ বৃত্তি পেয়ে কক্সবাজার জেলায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে এবছর চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ সর্বোচ্চ বৃত্তি পেয়ে কক্সবাজার জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ফলাফল ঘোষণার পর বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চলছে অন্যরকম আনন্দ উৎসব। একদিকে শিক্ষার্থীদের বিজয়ের মিছিল অপরদিকে শিক্ষকদের সুনামের মিছিল। বিজয় চিহ্ন প্রদর্শনের মাধ্যমে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াচ্ছে।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল আখের ও সহকারি প্রধান শিক্ষক ফজলুল কাদের বলেন, বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবকমন্ডলী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় আজ আমাদের বিদ্যালয় জেলার শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা এ ফলাফলের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া প্রকাশ করেছেন।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, এ ফলাফলের পিছনে যারা সর্বোচ্চ সময় ব্যয় করেছেন তারা হলেন আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী। এজন্য তিনি সকল শিক্ষককে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন। প্রতিবছর চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা এসএসসি, জেএসসি ও পিইসি/ বৃত্তি পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করে জেলার শীর্ষ দখল করে আসছে। সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখতে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, বিধি অনুযায়ী ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় শতকরা ২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল।