অনলাইন ডেস্ক : ভারত থেকে আসার পথে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীতে দুটি জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে একটি জাহাজ অক্ষত থাকলেও, আরেকটি ডুবে গেছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে বাংলাদেশি জাহাজটির দুই-তৃতীয়াংশ ডুবে যায়।
ভারতীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষের (আইডব্লিউএআই) এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ৯ ক্রুকে উদ্ধার করেছেন।
হুগলি জেলা পুলিশ বলছে, উদ্ধারকৃত ক্রুদের পরবর্তীতে থানায় নেওয়া হয়। উদ্ধারকৃত নাবিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশি ওই জাহাজের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, জাহাজের একাংশ ডুবে গেছে। এর ফলে জাহাজের ইঞ্জিন রুমেও পানি ঢুকে পড়েছে। তবে পুরোপুরি ডুবে না যাওয়ায় জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা যেতে পারে। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
জানা যায়, এমভি রাফসান হাবিব-৩ নামে জাহাজটি ছাই বোঝাই করে বাংলাদেশে আসছিল। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা আরেকটি জাহাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমভি রাফসান হাবিবের। ধীরে ধীরে হুগলি নদীতে ডুবে যেতে থাকে জাহাজটি। এ সময় এমভি রাফসানে থাকা কর্মীদেরকে উদ্ধার করে অন্য জাহাজের কর্মীরা।
পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করেন পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং স্থানীয় মানুষেরা।
এ দিকে ঘটনার কথা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুঘর্টনাস্থলের নদী তীরে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।
শুধু কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে মানতে নারাজ ডুবে যাওয়া জাহাজের কর্মী পুলক কুমার মণ্ডল।
তিনি বলেন, আমরা ঠিক পথেই যাচ্ছিলাম। ঠিক তখন বামদিক থেকে এসে অপর জাহাজটি আমাদের ধাক্কা মারে। এ সময় একই জায়গায় নদীতে আরও ৫টি জাহাজ ছিল। জাহাজটি সঠিক দিক-নির্দেশনা না মেনে চালানোতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্য আরও জাহাজের ক্ষতি হতে পারত।
দুর্ঘটনার খবর বাংলাদেশের এজেন্সিতে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।