তিমির বনিক, ষ্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে অভিমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন স্ত্রী। দীর্ঘদিন পর স্ত্রীর অভিমান ভাঙানোর জন্য ও নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান স্বামী আক্তার। তবে স্ত্রীর রাগ অভিমান ছিল তুঙ্গে তাই পারেনি রাগ ভাঙাতে, ব্যর্থ হয়ে নিজ বাসায় ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আক্তার হোসেন নামে এক রিক্সাচালক।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার বিকেল ৫টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড় পাড়া এলাকায়। নিহত রিক্সা চালক আক্তার হোসেন এলাকার নূর হোসেনের বড় ছেলে।
জানা যায়, আক্তার হোসেনের স্ত্রী সন্তান নিয়ে বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশারের টিনশেডের ঘরে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রী আমেনা বেগমের সঙ্গে প্রায়শো ঝগড়া হতো আক্তার হোসেনের। ২৩ দিন পূর্বে পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রী আমেনা বেগম আড়াই বছরের শিশু সন্তানসহ ৩ সন্তানকে রেখে বাবার বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট এলাকায় চলে যান। এরপর থেকে স্ত্রী’কে ফিরিয়ে আনার অনেক রকমের চেষ্টা করলেও তিনি ফিরে আসেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন প্রত্যেক দিনের মত রিক্সা চালানোর পর বিকেলে বাসায় ফিরে আসেন আক্তার। এ সময় তার দরজা ভেতর থেকে আটকা ছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিবারের লোকেরা তার খোঁজ করলে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছলো না। এতে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন তীরের সঙ্গে ঝুলছে আক্তারের মরদেহ।
পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সদর থানার এসআই সাব্বির আহমেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের জেরে আক্তার হোসেন আত্মহত্যা করেছেন।