আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ রপ্তানি প্রকল্পের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩১ জানুয়ারি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ছিল তার শুনানি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে দুপুর ১টায় শুনানি শুরু হয়।
আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী ঝুমা সেন বলেন, ঝাড়খন্ড এবং মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ করেছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। আমসহ যেসব ফলের গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে, প্রান্তিক কৃষকদের এই গাছগুলো ছিল জীবন জীবিকার অর্থের উৎস। ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত আদানির বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ বন্ধ রাখার আবেদন করছি।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আদানি গোষ্ঠীর আইনজীবী আদালতে বলেন, সব নিয়ম মেনেই বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। এখানে কৃষকরা তথ্য গোপন করছে।
দুই পক্ষের শুনানির পর আদালত উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন, আদালতে হলফনামা আকারে তাদের বক্তব্য জমা দিতে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ এপ্রিল।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় আদানি গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গের মূর্শিদাবাদ জেলার উপর দিয়ে খুঁটি দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তার যাচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু জেলার যে অংশের উপর দিয়ে আদানির এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন যাচ্ছে, সেই ফারাক্কা নামক জায়গায় প্রচুর আম ও লিচুর বাগান রয়েছে। এ কারণে তাতে আপত্তি জানান সেখানকার কৃষকরা। গত বছরের জুলাই মাসে এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী। উভয় পক্ষে আহত হয় বেশ কজন।