মোঃ বাদল হোসেন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন বদরপুর ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউল হক প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করে প্রথম স্ত্রীকে ক্রমাগত মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া পারিবারিক কলহের কারণে সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আতাউল হক এর প্রথম স্ত্রী মোসাঃ জান্নাতুল নেছা এর সাথে পারিবারিক ভাবে ২০০৭ সালে তার বিবাহ হয়। জান্নাতুল নেছার গর্ভে এক কন্যা সন্তান ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়ে এবং ছেলে ৭ম শ্রেনীতে পড়ে। স্ত্রী সন্তান থাকা স্বত্তেও আতাউল হক তার ছোট ভাই এনামুল হকের স্ত্রী তামান্না সুলতানা তমার সাথে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার ছোট ভাই মারা যাওয়ার পরে সে তার প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বিবাহ করেন। এনিয়ে তার পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অশান্তির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা নিয়ে সে তার প্রথম স্ত্রীকে একাধিকবার মারধরও করেছেন বলে তার স্ত্রী অভিযোগ করেছেন। পারিবারিক কলহের কারণে সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। আর স্কুলে গেলেও বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে চলে আসেন। যার ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ে তার অনুপস্থিতির কথা ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে সে জানায় হেড স্যার স্কুলে আসছিল কিন্তু তাড়াতাড়ি চলে গেছেন।
আতাউল হক এর প্রথম স্ত্রী মোসাঃ জান্নাতুল নেছা এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, তার স্বামী আতাউল হক গোপনে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সে বিভিন্ন সময়ে টাস লেখা এবং মাথা ব্যাথার কথা বলে তার ছোট ভাইয়ে স্ত্রীর সাথে দেখা করতো। তার ছোট ভাই মারা গেলে সে গোপনে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বিবাহ করে। যে টা আমি পড়ে জানতে পারি। দ্বিতীয় বিবাহ করার পড়ে সে তাকে এবং তার সন্তানদের সময় দেয় না। প্রায়ই তাকে মারধর করেতে থাকে। গত ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ তাকে মারধর করে গুরুত্বর আহত করলে, সে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫দিন যাবৎ চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরেন। তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় বিবাহ করার ফলে তার স্বামী নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে না।
আতাউল হক জানান, আমি নিয়মিত স্কুলে যাই। দ্বিতীয় বিবাহ সেটা আমার পারিবারিক বিষয়। আমার ছোট ভাই দুইটি সন্তান রেখে মারা গেছে। তাই আমাদের বংশের কথা চিন্তা করে আমি ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে বিবাহ করি।