নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বমানের বাজাজ রানার থ্রি-হুইলার উৎপাদন করছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি
এই প্রথমবার দেশেই এলপিজি ও সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার উৎপাদন শুরু করেছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক থ্রি-হুইলার ব্র্যান্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার পথচলা শুরু হলো।
গতকাল শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভালুকায় রানার অটোমোবাইলস পিএলসি ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থ্রি-হুইলার উৎপাদন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এসময় রানার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিডা চেয়ারম্যান, এফ বি সি সি আই সভাপতি, রানার ও বাজাজ এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সুবীর চৌধুরী বলেন, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি দেশের মোটরসাইকেল শিল্পে প্রথম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ থ্রি-হুইলার শিল্পে পা রাখলাম। আশা করছি, মোটরসাইকেলের মতো এই শিল্পেও আমরা সাফল্য অর্জন করবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের পর আমাদের সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছি। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আছি। আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। সরকার রপ্তানিমুখী শিল্প নীতি ও অটোমোবাইলস শিল্পের প্রসারেও সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে”।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, “আজ বড় আনন্দের দিন; দেশে প্রথম থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার যাত্রা শুরু করলাম। আর এই স্বপ্নযাত্রাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালযয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর,ব্যাংক সহ সকল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি”।
তিনি আরও বলেন, “প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমিতে গড়ে ওঠা রানারের ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানায় প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার গাড়ি উৎপাদন করতে সক্ষম । বাজাজ অটোর প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ইঞ্জিনের কিছু উপাদান ছাড়াও ওয়েল্ডিং, চ্যাসিস, বডি ও কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ অধিকাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হবে। এর ফলে ৩০০ মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রানার বাজাজ থ্রি-হুইলার হবে দেশের মানুষের জন্য যাত্রাপথে যোগাযোগের অন্যতম বাহন, রানার এ দেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শিল্প বিকাশে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পেরে গর্বিত।