October 8, 2024 - 5:26 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশবড়ধূল ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী সহায়তা পেতে পাড়ি দিতে হয় ৭ কি.মি

বড়ধূল ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী সহায়তা পেতে পাড়ি দিতে হয় ৭ কি.মি

spot_img

সেলিম রেজা. সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: নানা অনিয়ম আর দূর্নীতির আখড়া সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ৬নং বড়ধূল ইউনিয়ন পরিষদ। সরকারী নানা বরাদ্দ পেতে জনগণকে গুণতে হয় নগদ টাকা। আর চাহিদামত টাকা দিতে না পারলে মেলেনা কিছুই। একই সাথে জন্ম-মৃত্যু সনদ সহ যে কোন কাগজ তুলতেই সরকারী ফির বেশী টাকা দিতে হয় অভিযোগ স্থানীয়দের। আর সবশেষ অভিযোগ উঠেছে, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ৬নং বড়ধূল ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে অথচ ইউপি সচিব বলছেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চরাঞ্চল বেষ্টিত এলাকা নিয়ে কৃষি প্রধান এলাকা বড়ধুল ইউনিয়নে খেটে খাওয়া সহজ সরল সাধারণ মানুষের বাস। কৃষি প্রধান এলাকা হবার কারনে এই অঞ্চলের মানুষ সহজ সরল। তাদের এই সরলতার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধূ লোকজন সরকারী সহায়তা পাইয়ে দেবার কথা বলে বাড়তি টাকা দাবী করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আবার জন্ম-মুত্যু সনদ তুলতেও গুণতে হয় বাড়তি টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুছ আলী, আবু তালেব, জাহিদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল কায়ম মন্ডল, আলমাছ মোল্লা, ফারুক সরকার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি সেবা সহ তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির জন্য জন্মসনদ তুলতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে, তাদেরকে জানানো হয় বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধ না করলে জন্মসনদ মিলবেনা। একই সাথে জন্মসনদ তুলতেও সরকারী ফির বাইরে গুণতে হয়েছে বাড়তি টাকা। আর জন্মসনদ মিলেছে দীর্ঘ সময় পর। স্থানীয়দের আরো অভিযোগ পূর্বে ট্যাক্সের পরিমান কম থাকলেও গত অর্থবছর থেকে ট্যাক্স বেড়েছে কয়েকগুণ। এদিকে ইউনিয়নটি পরিষদ চরাঞ্চল এলাকায় হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের কোন কর্মকর্তাই ইউনিয়ন পরিষদে অফিস করেন না। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালান বেলকুচি পৌরসভা এলাকার মুকুন্দগাতী বাসস্ট্যান্ডের পাশে ভাড়া বাসায়। এমন কি বড়ধুল ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে আসবাবপত্র রোদ বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হতেও দেখা যায়। বড়ধুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। এলাকাটি চরাঞ্চল হওয়ায় চলাচলের জন্য কোন যানবাহন না থাকায় দীর্ঘ এই মেঠো পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে সেবা নিতে হয় ইউনিয়ন পরিষদের জনসাধারণকে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে বড়ধুল ইউপির সচিব কাউছার আহম্মেদ মুঠো ফোনে প্রতিবেদককে জানান, সরকারী ফির বাইরে কোন অনৈতিক সুবিধা নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

গত বেশ কিছুদিন ধরে সচিব থাকার কারনে নানা অনিয়ম করলেও এবারই সচিবের অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে স্থানীয় মানুষ। আর স্থানীয় মানুষেরা জানান, অনিয়মের পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে কিছু অসাধূ ইউপি সদস্যরাও যুক্ত। তাই সরকারী সহায়তা ও সেবা পেতে এবং ভোগান্তি থেকে মুক্তির দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ