গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাশিমপুরে মসজিদের গেটে ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার লাগাতে নিষেধ করায় এক মুসল্লীর বাসাবাড়িতে ফিলিম স্টাইলে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টা সময় কাশিমপুর থানাধীন হাতিমারা এলাকায় অলিয়ার রহমান রাজুর বাড়ীতে এ হামলা ও ভাংচুর চালায় মাহফিল কমিটির সদস্যরা।
অলিয়ার রহমান রাজু (৪৭) বলেন,গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) এশার নামাজের সময় হাতিমারা কেন্দ্রীয় মসজিদের গেটে ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার লাগাতে আসে একদল যুবক। মসজিদের গেটে পোস্টার লাগাতে নিষেধ করায় মাহফিল কমিটির সদস্যরা (যুবক) তর্কে জড়ায় এবং আমার শরীরে আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। ঘটনা শুনে স্থানীয় কাউন্সিলর বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
কিন্তু শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ওমর ফারুক, আতাউর মিয়া,মাসুদ মিয়া,দুলাল এবং জাকির এর নেতৃত্বে বিশ থেকে ২৫ জনের একটি সন্ত্রী দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাড়ীতে এসে ফিলিম স্টাইলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর শুরু করে।
তিনি বলেন, প্রথমেই এসে বাড়ীর সামনে টিনের বাউন্ডারি কোপাতে থাকে। পরে বাড়ীর ভিতরে ঢুকে ৬ টি জানালার গ্লাস ও পানির ট্যাংকি ভাংচুর করে। এতে আমাদের পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
জামিয়াতুল আবরার আল ইসলামিয়া আল জামিয়াতুল আরাবিয়া উম্মাহাতুল মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসার মাহফিল কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ করিম বলেন সামান্য পোস্টার লাগানো কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করছি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মোল্লা বলেন, গতকাল শুক্রবার হাতিমারা কেন্দ্রীয় মসজিদের গেটে ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। কিন্তু আজকে সকালে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা দুঃখজনক। তিনি বলেন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে ডেলিভারিম্যানের প্রতারণার শিকার কয়েক কিশোরী
মহেশপুরে মাল্টার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ