স্পোর্টস ডেস্ক : রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরের কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টুর্নামেন্টের ৪১তম গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ৭০ রানে হারিয়েছে রংপুরকে।
প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ মাশরাফি-মুশফিকের সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে সিলেট। ১২ ম্যাচে সিলেটের সমান ১৮ পয়েন্ট আছে কুমিল্লারও। রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করলো কুমিল্লা। সিলেটের রান রেট ০.৭৩৭। কুমিল্লার রান রেট ০.৭২৩।
এ ম্যাচ হেরে ১২ খেলায় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে আছে রংপুর। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে ফরচুন বরিশাল। এলিমিনেটরে বরিশালের মুখোমুখি হবে রংপুর।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান।
ব্যাট হাতে দলকে দারুন সূচনা এনে দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ওপেনার লিটন দাস ও পাকিস্তানী মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫ ওভারে ৪৩ রান তুলেন তারা। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ২৪ রান করা রিজওয়ানকে ফেরান আফগানিস্তানের পেসার আজমতুল্লাহ ওমারজাই। ২১ বল মোকাবেলায় ২টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান রিজওয়ান।
এরপর ক্রিজ এসে দু’টি চারে ইনিংস শুরু করলেও ব্যক্তিগত ৮ রানে পেসার রিপন মন্ডলের বলে বোল্ড হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারাইন। দলীয় ৬৩ রানে ২ উইকেট হারায় কুমিল্লা। এরপর কুমিল্লার ১শ রান পার করেন লিটন ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
১৩তম ওভারে দলীয় ১০১ রানে লিটনকে থামান স্পিনার রাকিবুল হাসান। ৩৩ বল খেলে ৩টি করে চার-ছয় মারেন লিটন। জুটিতে ৩৯ বলে ৩৮ রান যোগ করেন লিটন-ইমরুল। পরের ওভারেই ব্যক্তিগত ১৯ রানে ইমরুল আফগানিস্তানের ওমরজাইর দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন।
দলীয় ১০৫ রানে ইমরুলের বিদায়ে জুটি গড়েন জাকের আলি ও খুশদিল শাহ। রানের গতি বাড়াতে মারমুখী ব্যাটিং করে ১৮তম ওভারে দলের রান দেড়শতে নেন তারা। আফগানিস্তানের নাভিন উল হকের করা ১৯তম ওভারে খুশদিলের ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৯ রান পায় কুমিল্লা। শেষ ওভারে জাকেরের উইকেট হারিয়ে ১টি ছক্কায় ৮ রান পায় কুমিল্লা। ৩টি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৪ রান করেন জাকের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় কুমিল্লা। ২০ বলে দুই চার ও তিন ছক্কায় ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন খুশদিল। রংপুরের ওমরজাই ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন।
কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিতের লক্ষে ১৭৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর। পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় তারা। ওপেনার মোহাম্মদ নাইমকে ৬ রানে ও ইংল্যান্ডের টম কোলার ক্যাডমোরকে ১ রানে আউট করেন স্পিনার স্পিনার তানভীর ইসলাম। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারকে ১৩ রানে বোল্ড করেন নারাইন। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারার পরের ডেলিভারিতে রাসেলের শিকার হন রংপুর অধিনায়ক ৭ রান করা নুরুল।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে বড় জুটির প্রয়োজন মেটাতে পারেনি রংপুরের মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা। নবম ওভারে শামীম হোসেনকে ১১ রানে বিদায় করেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
কুমিল্লার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেও বেশি দূর যেতে পারেননি আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২২ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করে মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হন গুরবাজ। দলীয় ৭৪ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি।
এরপর ওমরজাইর ১৫ ও রাকিবুলের ১৬ রানে ১শ পার করা রংপুন শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারে ১০৭ রানে অলআউট হয়। কুমিল্লার মুস্তাফিজুর ৩ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: