নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে আবারও বাড়ল জেট ফুয়েলের দাম। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জেট ফুয়েলের দাম ১১২ টাকা থেকে ৬ টাকা বাড়িয়ে ১১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক গন্তব্যের জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ০.৯০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি জেট ফুয়েলের দাম অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের জন্য ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেট ফুয়েলের দাম ছিল ১২৫ টাকা, অক্টোবরে ৫ টাকা বেড়ে হয় ১৩০ টাকা, নভেম্বরে ৫ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা, ডিসেম্বরে আরও কমিয়ে হয় ১২১ টাকা করা হয়েছিল।
২ বছর আগে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি জেট ফুয়েল প্রতি লিটারের দাম ছিল মাত্র ৪৬ টাকা। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ক্রমাগতভাবে বেড়ে ফুয়েলের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ টাকায় পৌঁছায়।
এ অবস্থায় গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে চিঠি দেয় এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)।
চিঠিতে তারা দাবি করে, দেশে পদ্মা অয়েল জেট ফুয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে অনেক বেশি রাখছে। এ কারণে এভিয়েশন খাত অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। পদ্মা অয়েলের মনোপলি ব্যবসার বিকল্প হিসেবে তারা তিনটি প্রস্তাব দেয়-
১. দেশীয় প্রাইভেট সেক্টরের এয়ারলাইন্স এবং হেলিকপ্টার অপারেটরদের জন্য সরাসরি পারটেক্স পেট্রোলিয়াম থেকে জ্বালানি কেনার অনুমোদন।
২. প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদেশ থেকে জেট ফুয়েল আমদানির অনুমোদন প্রদান।
৩. অভ্যন্তরীণ জ্বালানি মূল্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানির মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা।
তাদের দাবি বিবেচনা করে নতুন করে জেট ফুয়েলের দাম সমন্বয় করেছে বিপিসি।