আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন এন্টারটেইনমেন্ট জায়ান্ট ওয়াল্ট ডিজনি। প্রতিষ্ঠাটির প্রধান নির্বাহী বব ইগার জানিয়েছেন, বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের মুখে সাত হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে ডিজনি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বাৎসরিক ৫০০ কোটির বেশি খরচ বাঁচাতে ও ডিজনি প্লাস স্ট্রিমিংকে লাভজনক করে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসার পর তিন মাসের আর্থিক ফলাফল ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন বব ইগার। সেখানে প্রতিষ্ঠানের আয়বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেলেও, ২০১৯ সালে চালু হওয়া ডিজনি প্লাসের গ্রাহকসংখ্যা হ্রাস পেতে দেখা যায়।
পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, সে সময়ে রাজস্ব আয় আট শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৫ কোটি ডলার ও নিট আয় ১১ শতাংশ একশো ৩০ কোটি ডলার হয়েছে। অন্যদিকে, ওই তিন মাসে ডিজনি প্লাস গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ ৪০ হাজার কমে ১৬১ দশমিক আট মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান প্রধান নির্বাহী বলেন, আমরা সৃজনশীল এ যুগে নিজেদের কোম্পানিকে পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, খরচ কমানোর মাধ্যমে আমরা স্ট্রিমিং ব্যবসার টেকসই বৃদ্ধি ও অধিক লাভ অর্জন করতে পারবো।
তিনি আরও জানান, নতুন পরিকল্পনাটি কোম্পানিকে তিনটি বিভাগে পুনর্গঠন করবে। প্রথমত একটি বিনোদন ইউনিট, ফিল্ম, টিভি ও স্ট্রিমিংসহ, দ্বিতীয়ত একটি ক্রীড়া কেন্দ্রিক ইউনিট ও তৃতীয়ত ডিজনি পার্ক ও পণ্যের সম্প্রসারণ।
বব ইগার বলেন, এ পুনর্গঠনের ফলে আমাদের সামষ্টিক ব্যয় আরও কার্যকর হবে ও কর্মক্ষেত্রে সমন্বিত পদ্ধতির সৃষ্টি হবে। আর নতুন করে সাজানোর ক্ষেত্রে কোম্পানিটির স্ট্রিমিং সার্ভিসকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পুনর্গঠনের এ ঘোষণার পর বর্ধিত বাণিজ্যে ডিজনির শেয়ারের দাম পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে স্ট্রিমিং ব্যবসায় অতিরিক্ত ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেন বিলিয়নেয়ার অ্যাক্টিভিস্ট ও বিনিয়োগকারী নেলসন পেল্টজ। ধারণা করা হচ্ছে নতুন পরিবর্তনগুলো তার সমালোচিত সমস্যার সমাধান দেবে। এর প্রতিক্রিয়ায় পেল্টজের ট্রায়ান গ্রুপ বলে, আমরা আনন্দিত যে, ডিজনি আমার কথা শুনেছে। সূত্র: বিবিসি