মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: মহেশখালী উপজেলার খরচ ও চাষের সময় দুটোই কম হওয়ায় কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরিষা চাষ। গত কয়েক বছরে তুলনায় নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে শস্যটির ফলনও আগের চেয়ে বেড়েছে। সেই দিকেই দেখি কম-বেশি সরিষা আর সরিষা। সরিষা দেখে চোখ জুরিয়ে মন ভরিয়ে যায়। সরিষার এবার ভাম্পায়ার ফলন হয়েছে। বেশীর ভাগ জমির সরিষার ফল এখন পাক ধরতে শুরু করেছে। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কৃষক ঘরে তুলবে সরিষা।
বুধবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমাহার। আমন ধান কাটার সাথে সাথে ওই জমিতেই সরিষা চাষ করছেন কৃষকরা।
উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কামিতারপাড়া এলাকার চাষি ইয়াছমিন আক্তার বলেন, কৃৃষি অফিসের পরামর্শে, সার ও বীজ দেওয়া প্রথম চাষ করেছি। ফলে বাড়তি লাভের পাশাপাশি পরিবারের চাহিদা পুরুনের আশায়। একই কথা বলেন অন্য সরিষা চাষিরা। ভাল সরিষা ফলনে মনে আসার আলো ছড়িয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাঠ পর্যায়ে কর্মী সাইফুল ইসলাম জানান, এবার প্রথম সরিষা মৌসুমে উপজেলায় কুতুবজোম, বড় মহেশখালী, শাপলাপুর, ছোট মহেশখালী, হোয়ানক ও কালারমারছড়া, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু বর্ষার পানি মাঠ থেকে সঠিক সময়ের মধ্যে নেমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও আরো বেশি জমিতে সরিষার আবাদ বেশী করেছে কৃষক। মহেশখালী উপজেলার প্রতিটি মাঠেই বারী-১৪ জাতের নতুন উদ্ভাবিত বেশী ফলনশীল সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এতে ফলনের মাত্রাও বেশী হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী ফলনের আশা করছে। বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেশী হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। সরিষা তেলের চাহিদা বেশী থাকায় তেলমিল ব্যবসায়ীরা সরিষা ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে। আর এতে সরিষার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক লাভবান হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান সরিষা আবাদ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার এবার ভাম্পায়ার ফলন হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেও উৎপাদন আরো বেশী আশা করছেন। এ ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪ জাতের সরিষা আবাদ করায় ফলন বেশী হবে। প্রতি বিঘায় ৭ থেকে ৮ মন উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে ব্যাপক উৎসাহের দেখা দিয়েছে।