October 9, 2024 - 6:28 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশকক্সবাজারে ‘ঘূর্ণিঝড় বিলাস’

কক্সবাজারে ‘ঘূর্ণিঝড় বিলাস’

spot_img

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এখানে কোনো দুর্যোগ চলছে। হাজারও পর্যটক ও স্থানীয়রা নেমে পড়েছেন সৈকতে। তাদের বাধা দিচ্ছেন লাইফগার্ড এবং সৈকতকর্মী। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তাদের সঙ্গে যেন চোর-পুলিশ খেলা চলছে! যেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কিছুই না তাদের কাছে।

রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্ট ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। পর্যটকদের উদ্দেশে বারবার মাইকিং এবং বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করলেও মানছেন না তারা। এদেরই একজন মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ওসমান আলী জানালেন, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ে সাগরের উত্তাল ঢেউ দেখে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। সে কারণে কক্সবাজার চলে এলাম ঘূর্ণিঝড় দেখতে! খুবই ভালো লাগছে!

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’: পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত বিকেলে উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল এই পর্যটককে নিরাপত্তার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে বললেন, আমরা তো সতর্কতা অবলম্বন করেই সমুদ্র নেমেছি। আপনাদের কী সমস্যা! আমরা নিরাপদে ভ্রমণ করছি! আমরা বুঝবো বাকিটা!

ঢাকার গুলশান ভাটারা থেকে ঘুরতে আসা আরেক পর্যটক ইসহাক গাজী বলেন, আমরা তো ১০ দিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছি। এই অবস্থা হবে, সেটাতো জানি না। আমরা তিনদিনের পরিকল্পনা নিয়ে এসেছি। আমরা ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে গেছি। এখন সমুদ্র দেখতে আনন্দ লাগছে; আবার ভয়ও লাগছে।

বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র লাইফগার্ড রশিদ আহমদ বলেন, আমরা একপাশ থেকে তুলে দিলে অন্যপাশ থেকে আবার পর্যটকরা নেমে পড়ছেন। আবার স্থানীয়রাও ঘূর্ণিঝড় দেখার জন্য সমুদ্র আসছেন। আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। সৈকতকর্মীরাও কাজ করছে কিন্তু কেউ পেরে উঠছে না। ব্যাপারটা যেন আমাদের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলা হচ্ছে!

সৈকতকর্মী শফিউল আলম বলেন, আমরা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং করে যাচ্ছি। সবাইকে সমুদ্র সৈকত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলছি কিন্তু অনেকেই এ নির্দেশনা মানছেন না।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিস্থিতি দেখতে এসে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এ বিষয়ে বলেন, আমরা সৈকতের কিটকট, জেটস্কি, বিচবাইকসহ সব সেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।

সৈকত এলাকা ছাড়ার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, সৈকতকর্মী, লাইফগার্ড কাজ করছে। এছাড়া পর্যটকদেরও অনুরোধ জানাচ্ছি এই বলে যে, আপনারা আমাদের এদিকে ব্যস্ত রাখবেন না। আমাদের পুরো জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করুন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ