মাসুদ রানা, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।। নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে প্রভাব খাটিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের উম্মুক্ত জলাশয় (মাটিয়াল) লীজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার লীজ বাতিল চেয়ে গ্রামবাসীর গণস্বাক্ষরকৃত আবেদনটি সিরাজগঞ্জ-৪, উল্লাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব গাজী শফিকুল ইসলামের সুপারিশ সহ জমা দিয়েছে কতৃপক্ষে কার্যালয়ে।
লীজ বাতিলের আবেদনে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের সরাতলা মৌজায় জেলা পরিষদের নামে ১৭ শতক উম্মুক্ত জলাশয় (মাটিয়াল) রহিয়াছে। যাহার জেএল নং-১৬১,আর এস দাগ নং-১০৯৩, খতিয়ান নং-০৩। উম্মুক্ত জলাশয়ে চারপাড়ের এক থেকে দেড় হাজার গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে ডুব,গোসল,গৃহস্থালির কাজ ও গবাদিপশুর গোসল সহ নানা কাজে ব্যবহার করে আসছে। জলাশয়ে সরকারি অর্থায়নে একটি পাকা ঘাট নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। হঠাৎ জেলা পরিষদ উম্মুক্ত জলাশয়টি ১ বছরের জন্য অন্যত্র লীজ প্রদান করায় জলাশয়ের ৪ পাড়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে।
গ্রামবাসীর অভিযোগে আরোও জানা যায়, খলিলুর রহমান, হোসেন আলী ও আবুল কাশেম উন্মুক্ত জলাশয় ইজারা নেওয়ার পর থেকে গ্রামের জনসাধারনকে জলাশয় ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। এর আগে জলাশয়ের ৪ পাড়ের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, জলাশয় দখল ও মাছ মারা কে কেন্দ্র করে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। তাই গ্রামের একমাত্র জলাশয়টি লীজ বাতিল পূর্বক সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত ঘোষণা চান গ্রামবাসী।
জায়গার ইজারাদার আবুল কাশেম ও হোসেন আলী জানান, সরাতলা মৌজার ১০৯৩ দাগের ১৬ শতক মাটিয়াল আমাদের পৈতৃক সুত্রে রের্কডি সম্পত্তি। ঐ দাগেই ১৭ শতক মাটিয়াল জেলা পরিষদের নামীয় সম্পত্তি। উল্লেখিত জায়গা (জলাশয়) বিধি মোতাবেক জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষই থানায় জিডি মামলা দায়ের করেছে। আইন শৃঙ্খল স্বাভাবিক আছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।