অনলাইন ডেস্ক : শহর-নগরে সর্বত্র ডুমুর পাওয়া যায় না। গ্রামগঞ্জে যেখানে-সেখানে ডুমুরগাছ দেখতে পাওয়া যায়। ডুমুরগাছ কেউ লাগায় না, আপনা আপনি হয়। তবে ডুমুর খুব উপকারী। দুই ধরনের ডুমুর দেখা যায়, গোল ডুমুর ও যজ্ঞ ডুমুর। ডুমুরের পাতা খসখসে হয়। গোল ডুমুরের পাতা লম্বা এবং যজ্ঞ ডুমুরের পাতা গোল। ডুমুর হাটবাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। গোল ডুমুর ডালনা ছেঁচকি খাওয়া যায়। তবে ডুমুর ফুটতে সময় লাগে। কারণ ডুমুরের বাইরের অংশ কেটে নিয়ে রান্না করা হয়। ডুমুর অত্যান্ত উপকারী ফল। গ্রামদেশে বিনা পয়সায় মেলে বলে এর কদর কম। তবে এর উপকারীতা সম্পর্কে জানা থাকলে একে অবহেলা করত না কেউ।
- ডুমুর পিত্ত ও আমাশয় রোগে উপকারী।
- এতে লোহা বেশী আছে বলে বেশী খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- ডুমুর রক্তপিত্ত, রক্তপ্রদর, রক্ত পড়া অর্থাৎ রক্তহীনতা রোগে উপকারী।
- জ্বরের পর ডুমুর রান্না করে খেলে টনিকের কাজ করে।
- মেয়েদের মাসিকের সময় বেশি রক্তস্রাব হলে কচি ডুমুরের রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
- দুধ ও চিনির সঙ্গে ডুমুরের রস খেলেও অধিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়।
- ডুমুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে রক্তপিত্ত সারে।
- আমাশয় হলে কচি ডুমরের পাতা আতপ চালের সঙ্গে চিবিয়ে খেলে ভালো হয়। এটা তিন দিন খেতে হয়।
- সাদা ও রক্ত আমাশয় হলে, ডুমুরগাছের ছাল রস করে ২ বেলা ২ চামচ রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো হয়।
- মাথাঘোরা রোগে, ডুমুর ভাজা করে খেলে ভালো হয়। তবে সর্বদা মনে রাখতে হবে ডুমুরের ভেতরের অংশ অখাদ্য। খেলে ক্ষতি হবে। সব সময় ডুমুরের বাইরের অংশটুকু রান্না করে খাওয়া যায়।
লেখক : ডা. আবু ইউসুফ ও ডা. আবু তাহের।
আরও পড়ুন:
শীতকালে নাক-কান-গলায় বিভিন্ন সমস্যা
স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায় জেনে নিন