মাঝে ডলার–সংকটের মধ্যেও ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কিছুটা গতি এসেছিল। কিন্তু গত নভেম্বরে ডলারের দামে অস্থিরতার কারণে এলসি খোলা আবার কমে গেছে। এই মাসে খোলা হয়েছে ৫০৮ কোটি ডলারের ঋণপত্র, যা এর আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৫৪২ কোটি ডলার। তবে ঋণপত্র খোলা সবচেয়ে বেশি কমেছে ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত নভেম্বরে এলসি খোলা হয়েছে ৫০৮ কোটি ডলারের ঋণপত্র। যা আগের মাসে অক্টোবরে ছিল ৫৪২ কোটি ডলার। তবে, ঋণপত্র খোলা সবচেয়ে বেশি কমেছে ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রে। গত জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণপত্র খোলা কমেছে ১৪ শতাংশ।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রবি মৌসুমের কারণে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলো কৃষিতে ব্যবহারের জন্য রাসায়নিক সার আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। এ কারণে ঋণপত্র খোলা বেড়েছিল। কিন্তু নভেম্বরে আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম বেড়ে ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় অনেকেই প্রয়োজনীয় ঋণপত্র খোলা থেকে বিরত থাকে। কারণ, তিন মাস পর যখন তারা আমদানি দায় শোধ করবে, তখন ডলারের দাম কত হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই-নভেম্বর সময়ে ভোগ্যপণ্যের জন্য ঋণপত্র খোলা হয় ১৯৫ কোটি ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৯ শতাংশ কম। একই সময়ে ভোগ্যপণ্যে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমে ২৪ শতাংশের বেশি। গত জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয় ৭৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ কম। এই সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমে প্রায় ৪১ শতাংশ।
ডলারের দামে ঊর্ধ্বমুখী ধারা চললেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো এটির দাম কমিয়ে আনছে। নতুন করে আজ (রোববার) থেকে ডলার কেনার দাম ঠিক করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ও বিক্রির ক্ষেত্রে যা ১১০ টাকা।