কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : কংগ্রেসের পর্যালোচনা ছাড়াই ইসরায়েলে প্রায় ১৪ হাজার গোলা বিক্রির অনুমতি দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন।
গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) পেন্টাগন জানায়, জরুরি অস্ত্র রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইনে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলে অবিলম্বে সরবরাহের জন্য ১০ কোটি ৬৫ লাখ ডলার মূল্যের ট্যাংকে ব্যবহারের গোলা রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে ইসরায়েলের মারকাভা ট্যাংকের জন্য ৪৫ হাজার গোলা বিক্রির অনুমোদন দিতে কংগ্রেসকে অনুরোধ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ অস্ত্রের সম্ভাব্য বিক্রয় মূল্য ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি। বর্তমানে এটি সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির অনানুষ্ঠানিক পর্যালোচনায় রয়েছে। ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১১ হাজার ৫০ কোটি ডলারের পরিপূরক প্যাকেজ অনুরোধের অন্তর্ভূক্ত নয় এটি।
তবে ওই ট্যাংকের গোলায় গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। যুদ্ধ তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন অস্ত্র কোথায়-কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে ইসরায়েলকে শর্ত দেয়ার বা সহায়তা বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অস্ত্র বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমাতে ইসরায়েলকে চাপ দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার সঙ্গে এ পদক্ষেপ সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ওয়াশিংটন ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে স্পষ্ট বলেছে যে তাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। বেসামরিকদের ক্ষতি এড়াতে প্রতিটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
পেন্টাগনের বিবৃতি অনুসার, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে ইসরায়েলকে এ গোলা সরবরাহ করা হচ্ছে আরো জানা যায়, মার্কিন সরবরাহের মধ্যে গোলা ছাড়াও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম থাকবে।
পেন্টাগন বলছে, আঞ্চলিক হুমকি মোকাবেলা ও প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রগুলো ব্যবহার করবে ইসরায়েল। এ বিক্রির ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।
রয়টার্স জানায়, মেরকাভা ট্যাংকে ১২০ মিলিমিটার শেল ব্যবহার করা হয়। যা সাম্প্রতিক সাংবাদিক নিহতের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ৭ ডিসেম্বর রয়টার্সের এক তদন্তে জানা যায়, গত অক্টোবরে লেবানন সীমান্তে এ সংবাদসংস্থার প্রতিনিধি ইসাম আবদুল্লাহ নিহতের ঘটনায় যুক্ত ছিল এ ধরনের ইসরায়েলি গোলা। ওই সময় আরো ছয়জন সাংবাদিক আহত হন।