স্পোর্টস ডেস্ক : দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট সিলেটে ১৫০ রানে জিতে ইতিহাস লিখেছেন বাংলাদেশ। আজ বুধবার থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-নিউজিল্য়ান্ড দ্বিতীয় টেস্ট।
শেরে বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ প্রথম ব্য়াট করছে। আর এদিন পাঁচে ব্য়াট করতে নেমে ৮৩ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তবে এদিন না তিনি উইকেট দিয়ে এসেছেন, না তাঁর উইকেট নিয়েছেন কেউ! ধাঁধার মতো শোনালেও এটাই বাস্তব। অজান্তে এক ভুল করে, ক্রিকেটের আইনে আউট হয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটার। ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ করে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
এদিন মুশফিকুরের বিরলতম আউটের ঘটনাটি বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১তম ওভারে ঘটে। নিউজিল্যান্ড পেসার কাইল জেমিসনের ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাকফুটে খেলেছিলেন মুশফিকুর। বল ব্যাটে লেগে মাটিতে পড়ে, কিছুটা বাউন্স করে, স্টাম্প থেকে দূরে থাকলেও কিছু একটা ভেবে মুশফিক ডান হাত বাড়িয়ে বলটি ধরে নেন। সঙ্গে সঙ্গেই আউটের আবেদন করে কিউইরা। টিভি আম্পায়ার এহসান রাজার কাছে সাহায্য চান অনফিল্ড আম্পায়ার পল রেফেল ও রোড টাকার। পাক আম্পায়ার এহসান টিভি-তে রিপ্লে দেখেই জানিয়ে দেন যে, মুশফিকুরকে ফিরতে হবে।
ক্রিকেটের আইনে ৩৭.১.১ ধারায় স্পষ্ট করে বলা আছে যে, ব্যাটার যে হাতে ব্যাট ধরে নেই, সেই হাত দিয়ে যদি বল ধরেন, তবে এই আউট হবেন। তবে যদি চোট থেকে বাঁচার জন্য যদি এই কাজ করেন তিনি, তাহলে আউট হবেন না। অতীতে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট নামে পরিচিত ছিল এই আউট। কিন্তু ২০১৭ আইন বদল করে এই আউটকে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এদিন বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে ক্রিকেটার ৮০-র উপর টেস্ট খেলে ফেলেছে, তার জানা উচিত যে, এরকমটা করা যায় না। অনুশীলনে ব্য়াটাররা প্রায়শই নেটে এভাবে বল ধরে ফেলে। বোলারকে তা ফেরত দেয়। হতে পারে মুশফিকুর বেখেয়ালে এই কাজ করে ফেলেছেন। তবে এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।এর আগে ছেলেদের ক্রিকেটে ১১ জন এভাবে আউট হয়েছিলেন। তালিকায় আছেন মহিন্দর অমরনাথ, মহশিন খান ও মাইকেল ভন।