স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক পদে নিয়োগ করেছে প্রাক্তন পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে। তাঁর সঙ্গে নির্বাচক কমিটিতে জুড়ে দেওয়া হয় আরও তিন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারকে। কামরান আকমল, রাও ইফতিখার অঞ্জুম ও সালমান বাটকে। কামরান-রাও-সালমানকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে নিয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই বরখাস্ত করা হল সালমানকে! ওয়াহাব নিজেই সেই ঘোষণা করলেন।
এখন প্রশ্ন, কেন সালমান চাকরি পেয়েও চাকরি হারালেন। প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ২০১০ সালে স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে মুখ পুড়িয়ে ছিলেন মহম্মদ আমির ও মহম্মদ আসিফেরও। সালমান ব্রিটেন মুলুকে কারাবাসও করেছেন যে অপরাধের জন্য। আইসিসি সালমানকে ১০ বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসিতও করে। স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডের ১৩ বছর পরেও সালমানকে ক্ষমা করতে পারেননি তাঁর দেশের মানুষ ও মিডিয়া। সালমান নির্বাচক কমিটিতে আসতেই প্রবল জনরোষ শুরু হয়। যার জেরেই পিসিবি বাধ্য় হল তাঁকে বরখাস্ত করতে।
ওয়াহাব এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেখুন আমাকে এবং সালমানকে নিয়ে লোকজন প্রচুর কথা বলতে শুরু করেছে। আমারই সিদ্ধান্ত ছিল সালমানকে পরামর্শদাতা করার। কারণ ওর ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক ভালো। কিন্তু আমি সেই সিদ্ধান্ত এখন প্রত্য়াহার করছি। আমি সালমানকে জানিয়েছি যে, ও আমার দলের অংশ হতে পারবে না। সালমান ওর অপরাধের শাস্তি ভোগ করেছে। মানুষের উচিত এগিয়ে যাওয়া।’
বিশ্বকাপে নয় ম্য়াচের মধ্য়ে পাঁচ ম্য়াচই হেরেছে পাকিস্তান। পয়েন্ট টেবলে পাঁচে শেষ করেই বাবর আজমদের বিশ্বকাপের বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল। এই নিয়ে টানা তিনটি বিশ্বকাপের শেষ চারে যাওয়া হয়নি ওয়াঘার ওপারের ক্রিকেটীয় দেশের। বিশ্বকাপ ভরাডুবির পরেই পরপর বড় ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান।
তারকা প্রোটিয়া পেসার মর্নি মর্কেল জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আর শাহিন শাহ আফ্রিদিদের তালিম দেবেন না। পাকিস্তানের বোলিং কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর বাবর দেশে ফিরে ছেড়ে দেন অধিনায়কত্ব। আগেই জানা গিয়েছিল যে, পাকিস্তান দেশে ফেরার পরেই হয়তো বাবর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন। আর বাস্তবে ঘটল সেটাই। কোনও ফরম্য়াটেই বাবর আর নেতৃত্ব দেবেন না। পাকিস্তানে বাবর যুগের অবসান হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জোড়া অধিনায়কের আবির্ভাব ঘটল। পাকিস্তান শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দিল টি-২০ ফরম্য়াটের দায়িত্ব। শাহিন যে অধিনায়ক হবেন, তাও নিশ্চিতই ছিল একপ্রকার। টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য় শান মাসুদকে বেছে নিয়েছে পাক ক্রিকেট বোর্ড। যদিও পাকিস্তান ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে কাউকে বেছে নেয়নি। কারণ পাকিস্তানের সামনে আপাতত কোনও ওয়ানডে নেই।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মিকি আর্থার। তাঁর চাকরি এখনও যায়নি। তবে সেই ভূমিকায় এবার থেকে পাওয়া যাবে মহম্মদ হাফিজকে। এখানেই শেষ নয়। অন্য়দিকে হেড কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্নের সঙ্গেও পাকিস্তান গোল্ডেন হ্য়ান্ডশেক করে নেবে বলে খবর। কোচ হতে চলেছেন ইউনিস খান। বিদেশি সাপোর্ট স্টাফদের মধ্য়ে মর্কেল আগেই চলে গিয়েছেন। পড়ে রয়েছেন ব্র্যাডবার্ন ও আর্থার। মনে করা হচ্ছে যে কোনও বিদেশিকেই আর আমল দেবে না। স্বদেশী বিপ্লবের পথেই হাঁটবে তারা।