এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে যোগ দিলেন ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী

Posted on November 23, 2025

কর্পোরেট ডেস্ক: বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হসপিটাল, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর নিউরোলজি বিভাগে অ্যাটেন্ডিং কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, এমবিবিএস, এমডি। দীর্ঘ ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ এই অঞ্চলের রোগীদের যত্নে হাসপাতালের নিউরোলজি সেবাকে আরও শক্তিশালী করবে।

ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে নিউরোলজিতে এমডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পেশাগত যাত্রা নির্ভরযোগ্য ক্লিনিক্যাল দক্ষতা ও একাডেমিক উৎকর্ষের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে যোগদানের আগে তিনি মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজে নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তিনি চিকিৎসা, শিক্ষাদান এবং মেন্টরিং সবক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।

পেশাগত জীবনে তিনি বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথে অবস্থিত কুইন আলেকজান্দ্রা হসপিটাল, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এসব অভিজ্ঞতা তীব্র ও জটিল নিউরোলজিক্যাল জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দক্ষতাকে আরও দৃঢ় করেছে।

স্ট্রোক, এপিলেপসি, জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি নিউরোপ্যাথি এবং নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডারের প্রমাণভিত্তিক আধুনিক চিকিৎসা, এগুলো তার ক্লিনিক্যাল আগ্রহের ক্ষেত্র। তিনি ক্লিনিক্যাল এপিলেপসি, ইইজি ইন্টারপ্রেটেশন, পারকিনসনিজম ও মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার্স নিয়ে দেশব্যাপী আয়োজিত বহু কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। গবেষণাক্ষেত্রেও তার অবদান রয়েছে, যার মধ্যে- কোমা স্কেল নিয়ে মৌলিক গবেষণা এবং স্ট্রোক স্কেল সংক্রান্ত সহ-লিখিত প্রবন্ধ উল্লেখযোগ্য, যা বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্স-এ প্রকাশিত হয়েছে।

ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম চৌধুরীর যোগদানের মাধ্যমে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের নিউরোলজি বিভাগ আরও শক্তিশালী, আধুনিক ও রোগীবান্ধব সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে। তার দক্ষতা, আন্তরিকতা ও রোগীকেন্দ্রিক চিকিৎসাদর্শন চট্টগ্রামের মানুষদের জন্য বিশ্বমানের স্নায়ুরোগ চিকিৎসা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।