বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খান। বলিউডের মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর তিনি। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অনেক সুপার হিট সিনেমা। তার ক্যারিয়ার তুঙ্গে থাকলেও ব্যক্তিজীবনের অবস্থান একেবারে তলানিতে।
বয়স ৬০ ছুঁতে আর বেশি দেরি নেই। জীবনের এতগুলো বসন্ত পার করে দিয়েছেন। জীবনে এসেছে বহু প্রেম। সংগীতা বিজলানি থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন কিংবা হালের ক্যাটরিনাদের মতো বলিউড ডিভারা ছিলেন তার প্রেমিকার তালিকায়। তবে কোনো প্রেমই পরিপূর্ণ হয়নি সালমানের জীবনে। কোনো প্রেমই বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি।
তবে বর্তমানে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন বলিউড ভাইজান।
জানা গেছে, নার্ভ ও মস্তিষ্কের একাধিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন নায়ক, যা তাকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যু পর্যন্ত! সদ্য এক সাক্ষাৎকারে এমন দুঃসংবাদ দিলেন নায়ক নিজেই।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (২১ জুন) দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ার কপিল শোয়ে নতুন সিজনের প্রথম অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সালমান খান। সেখানেই নিজের সব শারীরিক সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এ নায়ক।
এক পর্যায়ে প্রশ্ন ছোড়া হয় তার বিয়ে নিয়ে। জবাবে সালমান বলেন, বিয়ে এবং বিবাহবিচ্ছেদ দুইয়ের জন্যই একটা বড় মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। দুটোই জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আর তাই দুইয়ের পরই নতুন জীবন শুরু করা খুব সহজ নয়।
এই আলোচনার মাঝেই সালমান জানান তার বিরল অসুখের কথা। বলেন, প্রতিদিন কঠিন লড়াই করে চলেছি। প্রতিনিয়ত নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে চলেছি তা খুব সহজ নয়। এভি ম্যালফর্মেশন, ট্রাইজেমিনাল নিউরোলজিয়া ও অ্যানেউরিজমের মতো কঠিন রোগ শরীরে থাকার পরও কাজ করছি। নিজেকে সুস্থ রাখতে চেষ্টা করে চলেছি। প্রতিদিন মনে হয় আমার শরীরের একটা করে হাড় ভাঙছে। এতটাই কষ্ট হয়। এবার বিয়ের মতো একটা সিদ্ধান্ত জীবনের এই সময়ে এসে নেওয়াটা কঠিন।
সালমান খান জানান, সম্পদ অর্জন করা কতটা কঠিন কাজ এবং বিয়েবিচ্ছেদের পর একজন নারী কতটা সহজেই সবকিছু নিজের করে নিতে পারেন। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে জানান, ৫৯ বছর বয়সেও অনেক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থাকার পরও কাজ করছেন তিনি। আর বিয়ে করলে স্ত্রী হবে, স্ত্রী যদি তার অর্ধেক টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আবার নতুন করে শুরু করার সাহস পাবেন না।
তিনি বলেন, আমার জীবনে এখন এসবই চলছে। আমার যদি মেজাজ খারাপ হয়, তাহলে আমার যা আছে তার অর্ধেক কেড়ে নেবে সে (স্ত্রী)। যদি এমনটা আমার ছোটবেলায় হতো, তাহলে ঠিক ছিল। সবকিছু ফিরে পেতে পারতাম।
সালমানের শরীরে বাসা বাঁধা এই বিরল এই রোগগুলো মৃত্যু পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে। যেমন ট্রাইজেমিনাল নিউরোলজিয়া মূলত নার্ভের অসুখ। যার ফলে ভয়ংকরভাবে নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি মুখমণ্ডলেও ভয়ংকর যন্ত্রণা শুরু হয় যা রীতিমতো প্রাণঘাতী। অন্যদিকে এভি ম্যালফর্মেশনও কম জটিল রোগ নয়। শরীরে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচলে সমস্যা তৈরি করে।