আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ’র মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ৮ অক্টোবর থেকেই আমরা ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে প্রবেশ করেছি, তবে যুদ্ধের এই পর্যায়েই আমরা সীমাবদ্ধ থাকব না। যুদ্ধ আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করতে হবে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক লাইভ ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর- পার্সটুডে
হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে লেবানন সীমান্তের যে অবস্থা তা কেবল তারাই উপলব্ধি করতে পারছেন যারা সীমান্তে রয়েছেন। প্রতিনিয়ত ইসরাইলের সীমান্তবর্তী সব ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। ৪৩ হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনকারী উপশহরগুলো ছেড়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে এ পর্যন্ত আমাদের ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। যেকোনো সময় যুদ্ধ বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। এর মধ্যদিয়ে তিনি ধাপে ধাপে যুদ্ধের পরিধি বিস্তৃত করার হুমকি দিয়েছেন।
লেবাননের জনগণকে যেকোনো ধরণের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সব অপশনই টেবিলে রয়েছে।
ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন মার্কিন যুদ্ধজাহাজের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের জন্য উপযুক্ত অস্ত্র আমরা প্রস্তুত রেখেছি।
নাসরুল্লাহ বলেন, ‘আল-আকসা তুফান’ অভিযান ফিলিস্তিনিদের সিদ্ধান্তে হয়েছে। ফিলিস্তিনিরাই সব কিছু করেছে, তারাই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। অভিযানের বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয় ছিল বলেই তা সফল হয়েছে। আল-আকসা তুফান’ অভিযান ছিল অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত সফল। এর বাইরে ফিলিস্তিনিদের সামনে আর কোনো পথ বাকি ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা অভিযানের পর ইসরাইলি বাহিনী নিজেরাই নিজেদের লোকদের হত্যা করেছে। তারা হামাসের কাছ থেকে ইহুদি উপশহরগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য তাড়াহুড়োমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, পাগলামি করেছে। তারাই নিজেদের লোকদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের অস্ত্রের আঘাতে উপশহরে অনেক ইহুদিবাদী প্রাণ হারিয়েছে। এখন ইসরাইলে প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধে এসব তথ্য আসছে। ভবিষ্যতে তা আরও পরিষ্কার হবে।