ময়মনসিংহ ব্যুরো: ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ডিম ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তীর বাড়ি নিয়ে গিয়ে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোহাব্বত আলী (৪৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে ধোবাউড়া উপজেলার একটি গ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা থানায় বাদী হয়ে মোহাব্বত আলী, নজরুল ইসলাম, আব্দুল গণি ও আছিয়া খাতুনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নজরুল মেয়েটির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এ সময় কিশোরীর মা কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ডিম ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী আছিয়া খাতুনের বাড়ি নিয়ে গিয়ে নজরুল, মোহাব্বত ও গণি পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকেন। এদিকে কিশোরীর মা খোঁজাখুজির একপর্যায়ে আছিয়ার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। আছিয়াকে মেয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে এখানে সে নেই বলে জানায় আছিয়া। পরে কিশোরীর মা একটু আড়ালে গেলে আছিয়া কক্ষের দরজার তালা খুলে নজরুল ও গণিকে বের করে দিতে দেখলে কিশোরীর মা ডাকচিৎকার শুরু করেন। পরে খাটের নিচ থেকে মোহাব্বতকে বের করে আটক করে স্থানীয় লোকজন। থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। আমার মেয়ে জানিয়েছে, হাতে ডিম আর টাকা দিয়ে ঘরে নিয়ে যায় নজরুল, গণি ও মোহাব্বত। পরে তারা খারাপ কাজ করেছে।’
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার এ বিষয়ে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে মোহাব্বত আলীকে আটক করা হয়েছে। রাতে কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে চারজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার মোহাব্বতকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওই কিশোরীর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।