কর্পোরেট ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল ও মেধাবী ১০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে অ্যালামনাই ফ্লোরে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৃত্তির অর্থ ৩৬ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান পিএইচডি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাজমুস সায়াদাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সোশাল ইসলামী ব্যাংকের নিজের অবস্থা খুব ভালো না কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের প্রতি গভীর মমতা দেখিয়েছেন। ব্যাংকের বর্তমান নেতৃত্ব খুব কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ব্যাংকটিতে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এখানে এসেছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অনুষ্ঠানে সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এখানে যারা গ্রাম থেকে পড়তে আসে তাদের নিজের খরচ নিজেকে বহন করতে হয়। অনেকেই কোন ব্যবস্থা না করতে পেরে ফিরে চলে যায়। আমাদের সামাজিক দায়িত্ব যদি সবাই ঠিকমতো পালন করতো তাহলে কেউ ফিরে যেত না। চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এই অবস্থার মধ্যেও আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি এজন্য কৃতজ্ঞ। এসময় তিনি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি তহবিল গঠনের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহ্বান জানান। এই উদ্যোগ নেয়া হলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুস সায়াদাত বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের মদদে একটি বিশেষ বাহিনী এই ব্যাংককে কবব্জায় নিয়েছিল। আমাদের এই ব্যাংক এখন এসআলম থেকে দখলমুক্ত হয়েছে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনও পূর্বে দখল করা হয়েছিল। এখন এটি নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের আহ্বানে আমরা সাঁড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিতে এগিয়ে এসেছি। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকতে চাই। ভবিষ্যতেও এই বৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বৃত্তির অর্থ পেয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বলেন, আর্থিকভাবে সাহায্যের মাধ্যমে তারা আমাদের আশাকে জাগিয়ে রাখছেন। তারা যে প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছে এজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে ভালো কোন পর্যায়ে যেতে পারলে এভাবে আমিও অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আব্দুল বারী ড্যানী।