পুঁজিবাজার ডেস্ক: তারল্য সংকটে বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশর (আইসিবি)। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) সরকারের গ্যারান্টিতে গত ২৭ নভেম্বর ১০ শতাংশ সুদে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ ডিসেম্বর এ ঋণের অর্থ প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিবি। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আইসিবির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর ঋণ সহজীকরণে আইসিবিকে গ্যারান্টি দেয় সরকার। পরে আইসিবি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায় ১০ শতাংশ সুদ হার প্রতিষ্ঠানটির জন্য টেকশই নয় এবং তা কমিয়ে ৪ শতাংশ করার অনুরোধ করে। ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিবিকে স্বল্প সুদ হারে ৩ হাজার কোটি টাকা সংশোধিত সুদহার ঋণ অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা দিবে আইসিবিকে। এর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭০০ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, ৪ শতাংশ সুদে নেওয়া ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি এই অর্থ দিয়ে পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করা হবে। সুদ-আসলে ঋণ পরিশোধের জন্য দেড় বছর বা ১৮ মাস সময় পাবে আইসিবি। এই ঋণের গ্যারান্টি দিয়েছে সরকার।
আইসিবির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, এ বছর সেপ্টেম্বর শেষে বিভিন্ন সিকিউরিটিজে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্যে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। ক্রয়মূল্যে এ বিনিয়োগের পরিমান ১৩ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগজনিত ক্ষতির পরিমান ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা ।এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ৪৬ কোটি টাকা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছে । সঞ্চিতি ঘাটতি রয়েছে ৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা ।
ঢাকা স্টক এর সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের সমাপ্ত রছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে .৯২ টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ১.৭৯ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ১.৪৩ টাকা, ২০২০ সালে ছিল .৭৪ টাকা ও ২০১৯ সালে ছিল .৮৬ টাকা।
কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২৩ সালে ৫৩.৩৪ টাকা যা ২০২২ সালে ছিল ৫৫.৫৯ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ৫৪.৯৮ টাকা, ২০২০ সালে ছিল ৫৬.৮০ টাকা ও ২০১৯ সালে ছিল ৪৪.৫৭ টাকা।
কোম্পানিটি ১০০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে ১৯৭৭ সালে দেশের প্রধার শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৮৬৭ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটি বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।