শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাজারে যখন নিত্যপন্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি তখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের স্বস্তিতে সাতক্ষীরায় ”বিনা লাভের দোকান” দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার, চালতেতলা বাজার, কদমতলা বাজার, মিল বাজার, শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে এই অস্থায়ী দোকান বসিয়েছে তারা।
এসব দোকানে সরাসরি কৃষক ও খামারিদের উৎপাদিত পণ্যে এনে বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। “বিনা লাভের দোকান” থেকে দিন মুজুর থেকে শুরু করে নিম্ম মধ্য পরিবারের মানুষেরা।তাদের পরিবারের প্রয়োজন মত এসব পন্য আগ্রহের সাথে সংগ্রহ করতে দেখা যাচ্ছে অনেকের।
প্রতি কেজি মুসুর ডাল ১০০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫৭ টাকা, পেঁপে ২৬ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে । এ ছাড়া প্রতি পিচ লাউ ৩২ টাকা, প্রতি আঁটি পুইশাক ২০ টাকা ও প্রতিপিচ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা দরে। যা স্থানীয় বাজার থেকে প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা কমে।
সিন্ডিকেটারীদের রুখে দিতে এবং বাজারের প্রভাব কমাতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বাজার করতে আশা ইব্রাহিম খলিল বলেন, বাজারের চেয়ে এখানে দাম কম। আলু বাজারে ৬৫ টাকা, এখানে ৫৫ টাকা। পেঁয়াজ বাজারে ১৪২ টাকা, এখানে ১০০ টাকা। এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানায়। তবে এটার পরিধি বাড়ালে মানুষ খুব উপকৃত হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আহসানুল্লাহ বলেন, আমাদের এই উদ্যোগ আমরা চাচ্ছি যাতে সাধারণ মানুষ সহজ ও মূল্যে পন্য ক্রয় পারে। সরাসরি কৃষকের উৎপাদিত পণ্যে সংগ্রহের চেষ্টা চলছে তাতে করে আরও কম দামে মানুষের মাঝে সরবরাহ করতে পরি। আগামীতে এর শাখা বৃদ্ধি করা হবে।
নাগরিক কমিটির সদস্য রিফাত হোসেন বলেন, মানুষের নিত্য প্রয়োজনী সামগ্রী গুলো আমরা এখানে বিক্রি করছি। আগামীতে আমরা অন্য আইটেম সামগ্রী বৃদ্ধি করবো। বাজার ছাড়া এখানে মানুষ প্রতিকেজি পন্যে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমে পাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন জানান, গত ৫ আগস্টের পর বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে দেখছি আমরা স্বৈরাচারের দোসরদের একটি গোষ্ঠী সিন্ডিকেটের ব্যানারগুলো পুরাতন নাম থেকে নতুন নামে দখল করছে। সিন্ডিকেটের কারণে বাজারের সবজিসহ পণ্যগুলোর দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছি। বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ভাঙতে আমাদের এই উদ্যোগ। মানুষের মৌলিক অধিকার হচ্ছে খাদ্য। এর আগে দেখেছি উন্নয়ন ছিল, কিন্তু মানুষের অশান্তিতে ছিলো। আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু নিয়ে আশা।