নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে জেলা প্রশাসকদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট হওয়ার কথা। সাধারণত ৪৫ দিন আগে তফসিল দেওয়া হয়।
সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, সিইসি নভেম্বরের কথাই বলেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়নি। যথাসময়ে তফসিল দেওয়া হবে।
ইসি আনিছুর আরো জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনলাইনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি, ভোটকেন্দ্রের তথ্যসহ বিভিন্ন সেবা এই অ্যাপে পাওয়া যাবে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এর উদ্বোধন করা হবে।
এর আগে গত ৯ আগস্ট আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে আগাম পূর্বাভাস দিয়েছিলেন এই নির্বাচন কমিশনার।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের আর সুযোগ নেই জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। তা ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সেটা নির্ভর করে দলের সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করব। গত দেড় বছরে সব দলকে আমরা একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছি; এখনো আমরা আহ্বান জানাচ্ছি তারা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু এবং অবাধ হয়। সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর। এ ক্ষেত্রে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ধীরে ধীরে আমাদের সব প্রস্তুতি একটা একটা করে সম্পন্ন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দুই ধাপে মাঠ প্রশাসনের মোট ২২৫ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দুটি করে চারটি ব্যাচের দুদিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতি ধাপে ৩২ জন ডিসি, ৩২ এসপি, চারজন করে বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারাসহ অন্যরা অংশ নেবেন। ১৪ ও ১৫ অক্টোবর প্রথম ধাপে এবং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় ধাপে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে। প্রথম ধাপে মোট ১১৭ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ১০৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেবেন।