চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় নিত্য পন্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বুধবার বেলা ১১ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার নীচের বাজারে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে আলু, ডিম, পেয়াজ, মাছ-মাংশ, মুরগী, সবজি ও মুদিদোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। এসময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
এসময় সজল আহম্মেদ বলেন, বুধবার চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার নীচের বাজারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আলু, ডিম, পেয়াজ, মাছ-মাংশ, মুরগী, সবজি ও মুদিদোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।
এসময় মেসার্স লক্ষ্মী স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও অস্বাস্থ্যকরভাবে খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠান মালিক শ্রী মধুসূদন সাধু খা’কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৩ ধারায় ৩ হাজার টাকা, মেসার্স মুক্তি স্টোর এর মালিক শ্রী মুক্তি সাধু খা’কে পণ্যের মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাছ বাজারে মেসার্স রিদওয়ান ফিস এর মালিক ফারুক হোসেনকে পুর্বে অনেকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মাছের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মুরগী বাজারে মেসার্স খালেক মুরগী হাউজের মালিক আব্দুল খালেককে পুর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও মুরগির ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা ও অতিরিক্ত লাভে মুরগি বিক্রির অপরাধে সতর্কতামূলক ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
সজল আহম্মেদ আরও বলেন, এসময় অন্যান্য মুদি দোকান, মাছ-মাংশ বাজার, মুরগী বাজার, সবজি ও পেয়াজসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। অভিযানে বাজার কমিটির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান, কৃষি বিপণন কার্যালয়ের কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সজল আহম্মেদ।