শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই আকাশে মেঘ মালায় ছেয়ে যেতে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার খোলপেটুয়া,কপোতক্ষ, ইছামতিসহ বেশ কয়েকটি নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে, এ ছাড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে একই সাথে বাতাসের গতিবেগে বাড়তে শুরু করেছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার এ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় দানা’য় রূপ নিয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাত ও বাতাসের গতি বেগে বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর আওতায় শ্যামনগর উপজেলার ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধমধ্যে ৬/৭টি পয়েন্টে ৩ কিলোমিটারের মতন বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে বড় ধরনের দুর্যোগ না এলে বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা নেই বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ দিকে, ঘূর্ণিঝড় দানা’য় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার বিকালে জেলা দূর্যোগ কমিটির জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সাতক্ষীরায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য জেলার ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫ লাখ টাকার গো খাদ্য, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ৮০০ মেট্রিক টন চাল এবং নগর অর্থ প্রায় ৭ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।